বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দর এলাকা। রবিবার রাতে বিস্ফোরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে তিন চিনা নাগরিকের। আহত আরও অনেকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার পরই করাচি বিমানবন্দরে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়। সাধারণ মানুষের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রণ করেছেন কর্তৃপক্ষ।
বিস্ফোরণের বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। (যদিও সেই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। একাধিক ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে বিস্ফোরণের তীব্রতার ছবি। ঘটনার পরই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছ, এই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শব্দ শোনা যায়।
সংবাদমাধ্যম ‘জিয়ো নিউজ়’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ়িয়া উল হাসান জানান, আইইডি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে রয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। রবিবার রাতে কয়েক জন চিনা ইঞ্জিনিয়ার নামেন করাচি বিমানবন্দরে। তাঁদের কনভয়ে হামলা চালানো হয়। পাকিস্তানের কাসিম বন্দরে চিনের অনুদানে নির্মিত বিদ্যুৎ প্রকল্পে তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল।
এই ঘটনায় পাকিস্তানের উপর চটেছে চিন। সে দেশের দূতাবাসের তরফে ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। পাশাপাশি, হামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে ওই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত চিনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধও করা হয়েছে দূতাবাসের পক্ষ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy