গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নয়াদিল্লিতে জি২০ রাষ্ট্রগোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলনে গরহাজির থাকতে পারেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, জিনপিংয়ের পরিবর্তে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি আসতে পারেন চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কুইয়াং।
আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর জি২০ শীর্ষ সম্মেলন হবে। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যোগ দেবেন না বলে ইতিমধ্যেই মস্কোর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সে সময় জরুরি সামরিক সক্রিয়তার কারণেই প্রেসিডেন্ট পুতিন শারীরিক ভাবে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে হাজির থাকতে পারবেন না। তাঁর পরিবর্তে দিল্লি আসছেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভারভ। এই আবহে বৃহস্পতিবার জিনপিংয়ের ‘সম্ভাব্য অনুপস্থিতি’ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘‘বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’’
বেজিং থেকে অবশ্য এখনও জিনপিংয়ের ‘সম্ভাব্য অনুপস্থিতি’র কথা জানিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ‘বার্তা’ আসেনি বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল জিনপিংয়ের। এর পরে গত মঙ্গলবার, চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ ২০২৩ সালের ‘স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ’ প্রকাশ করা হয়। সেই মানচিত্রে ভারতীয় ভূখণ্ড অরুণাচল প্রদেশ এবং আকসাই চিনকে ‘চিনের অংশ’ বলে দেখানো হয়। যা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে তৃতীয় বারের জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই দেশের প্রধানমন্ত্রী বদলে দিলেন শি জিনপিং। ২০১৩ সাল থেকে চিনের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা লি খ্যছিয়াংকে সরিয়ে ওই পদে বসান নিজের বিশ্বস্ত কুইয়াংকে। প্রায় দু’দশক আগে জিনপিংয়ের ‘চিফ অব স্টাফ’ ছিলেন কুইয়াং। জিনপিং তখন ঝেজিয়াং প্রদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান। ২০১২ সালে জিনপিং প্রেসিডেন্ট এবং কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরে কুয়াংকে ওই প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy