শুল্কযুদ্ধে আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়তে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির পাশে থাকবে চিন। বুধবার মালওয়েশিয়া থেকে এমনই বার্তা দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে ওই বার্তায় আমেরিকা কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম করেননি তিনি। বলেছেন, “ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত এবং একমুখী ও রক্ষণশীলতার যে অভিঘাত দেখা যাচ্ছে, তাতে এই অঞ্চল (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া)-এর দেশগুলির পাশে দাঁড়াবে চিন এবং মালওয়েশিয়া।”
মালওয়েশিয়া সফররত চিনা প্রেসি়ডেন্ট আমেরিকার নাম না-করলেও ‘একমুখী ও রক্ষণশীল’ বলতে যে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট। কারণ, মুক্ত অর্থনীতির চিরায়ত ধারণা ভেঙে ট্রাম্প বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় আমদানি হওয়া পণ্যে শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন। এ ক্ষেত্রে মার্কিন স্বার্থকেই গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, সামগ্রিক শুল্কনীতি সাময়িক ভাবে স্থগিত করলেও বেজিঙের উদ্দেশে ক্রমাগত শুল্কবাণ ছুড়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। বুধবারই হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, চিনা পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ করতে চলেছে ট্রাম্প সরকার। শুল্কের এই বোঝায় কার্যত নাজেহাল চিন আগেও ভারত-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে পরোক্ষে আমেরিকার বিরুদ্ধে জোট বাঁধার বার্তা দিয়েছে। এমন বার্তা পেয়েও অস্ট্রেলিয়া সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। সে দিক থেকে দেখলে কার্যত একঘরে জিনপিঙের দেশ।
- দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ভাষণে যেমন উঠে এসেছে আমেরিকার বিভিন্ন বিষয়, তেমনই জায়গা পেয়েছে বিদেশনীতিও।
- পূর্বসূরি জো বাইডেনের সরকারের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের কণ্ঠে। তাঁর ভাষণ জুড়ে ছিল কখনও অন্য দেশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি, আবার কখনও শোনা গিয়েছে ধন্যবাদজ্ঞাপনও। উঠে এসেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ প্রসঙ্গও!
-
২০:২৮
‘ভারত নিজের শর্তেই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায়’! বললেন পীযূষ, ওড়ালেন সময়সীমার প্রসঙ্গও -
চিনের পরে ভিয়েতনামের সঙ্গেও বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলল ট্রাম্প প্রশাসন! এখনও হল না ভারতের সঙ্গে, নেপথ্যে চার ‘লক্ষ্মণরেখা’?
-
রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করলেই ৫০০ শতাংশ শুল্ক, কংগ্রেসে পেশ হওয়া বিলকে সমর্থন ট্রাম্পের! নিশানায় ভারত, চিন
-
আমাদের ক্ষতি হলে ছেড়ে কথা বলব না! ভারত-আমেরিকার বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে গুঞ্জন বৃদ্ধি হতেই বিবৃতি প্রকাশ করল চিন
-
ট্রাম্প আশাবাদী, কিন্তু ভারতের পক্ষে আমেরিকার সঙ্গে চিনের মতো দ্রুত বাণিজ্যচুক্তি করা কঠিন, কারণ কী?