প্রতীকী চিত্র।
করোনাভাইরাসের ধাক্কায় এখনও মন্দার প্রকোপ পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি গোটা বিশ্ব। অথচ যে দেশ থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি, সেই চিনের রফতানি বাড়ল রেকর্ড হারে। রবিবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী রফতানিতে গত ২ দশকের রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে বেজিং। একই সঙ্গে অবশ্য বেড়েছে আমদানিও।
সারা বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রি করে চিন। তার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এই ক্ষেত্রে বিশ্বে কার্যত নেতৃত্ব দেয় বেজিং। করোনার জেরে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বৃদ্ধি পেয়েছে গোটা বিশ্বে। তাই ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর চাহিদাও বেড়েছে। সেই বাজারের বড় অংশ ধরেছে চিন। ফলে এই ক্ষেত্রে রফতানি বেড়েছে লাফিয়ে। অন্য দিকে করোনার মোকাবিলায় মাস্ক এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর রফতানিও বেড়েছে লক্ষণীয় ভাবে।
রবিবার আমদানি রফতানির জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে শি চিনফিং প্রশাসন। তাতে দেখা যাচ্ছে, এই ২ মাসে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০.৬ শতাংশ। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর রফতানি বেড়েছে ৫৪.১ শতাংশ। মাস্ক, চিকিৎসা সামগ্রী-সহ বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি ৫০.২ শতাংশ। অন্য দিকে, আমদানি বেড়েছে ২২.২ শতাংশ।
গত বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। শুরু হয়েছিল লকডাউন। বিশেষ করে উহান প্রদেশ কার্যত অবরুদ্ধ ছিল। ফলে গত বছরের এই সময় আমদানি ও রফতানি— ২ ক্ষেত্রেই সঙ্কোচন হয়েছিল চিনের অর্থনীতিতে। এই ২ মাসে রফতানি কমেছিল ১৭ শতাংশ। আমদানি কমে হয়েছিল ৪ শতাংশের মতো। রবিবার এই তথ্য-পরিংসংখ্যান দেওয়ার পাশাপাশি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বৈদেশিক বাণিজ্যে চিনের মোট উদ্বৃত্ত ১০ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy