ফাইল চিত্র।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ফের সক্রিয় হয়েছে চিনা সেনা। সতর্ক ভারতীয় সেনাও। অরুণাচল প্রদেশ সীমান্ত বরাবর সেনা তৎপরতা বাড়িয়েছে ভারত। মোতায়েন করা হচ্ছে নানা ধরনের অস্ত্রও। তার মধ্যে রয়েছে কার্গিল জয়ের অন্যতম ব্রহ্মাস্ত্র বফর্স কামান, এম-৭৭৭ আল্ট্রালাইট হাউইৎজ়ার কামান ও অত্যাধুনিক অবতারে ফেরা এল-৭০ বিমানবিধ্বংসী বন্দুক।
ক্যাপ্টেন সারিয়া আব্বাসি জানিয়েছেন, ২০০টি এল-৭০ এয়ার ডিফেন্স গানে মাজ়ল ভেলোসিটি রেডার, ইলেকট্রো অপটিকাল সেন্সর, লেজ়ার রেঞ্জ ফাইন্ডার ও অটোমেটিক টার্গেট ট্র্যাকিং প্রযুক্তি যোগ করা হয়েছে। তাই এখন তারা যে কোনও ড্রোন, হেলিকপ্টার, বিমানকে দ্রুত চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে সক্ষম। সারিয়ার কথায়, ‘‘এল-৭০ বন্দুক যে কোনও অত্যাধুনিক অস্ত্রের সঙ্গে তুলনীয়।’’
এ দিকে, আজ ‘আধাসেনা ও পুলিশ শহিদ স্মৃতি দিবস’ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশ আগ্রাসন দেখালে ছেড়ে কথা বলবে না ভারত। অতীতেও এমন মনোভাব বরদাস্ত করা হয়নি, ভবিষ্যতেও করা হবে না।’’ মনে করা হচ্ছে, চিনের উদ্দেশেই এই বার্তা। ১৯৫৯ সালে ২১ অক্টোবর লাদাখের হট স্প্রিং এলাকায় সিআরপি বাহিনীর ১০ জওয়ানকে হত্যা করেছিল চিন সেনা। সেই ঘটনার স্মৃতিতে প্রতি বছর ‘পুলিশ শহিদ স্মৃতি দিবস’ পালন করা হয়।
ওই হামলার ষাট বছর পরেও আজ উত্তপ্ত রয়েছে লাদাখ। এক বছর আগেই নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়ে ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করেছে বেজিং। কেন্দ্রের দাবি, যথাসময়ে হামলা প্রতিহত করা গিয়েছিল বলে ভারতীয় জমি দখলে ব্যর্থ হয়েছে চিন। অন্য দিকে বিরোধীদের দাবি, এ যাত্রায় চিনা সেনার কাছে অন্তত কয়েক হাজার বর্গ কিলোমিটার জমি হারিয়েছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy