চিন-তাইওয়ান টানাপড়েনে ন্যান্সি পেলোসি। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
পরিণতি ভাল হবে না। আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের ‘পরিকল্পনা’ প্রকাশ্যে আসার পর ঠিক এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া জানাল চিন। আমেরিকারর আইনসভার স্পিকার কোন উদ্দেশ্যে ‘চিনা ভূখণ্ডের অংশে’ আসছেন, সে প্রশ্নও তুলেছে বেজিং।
সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে আমেরিকার একাধিক সাংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, অগস্টে তাইওয়ান সফর করবেন ন্যান্সি। যদিও সফরের দিনক্ষণ এখনও ঘোষিত হয়নি। ১৯৯৭ সালের পরে এই প্রথম আমেরিকার কোনও শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক তাইওয়ান সফরে যাচ্ছেন। আর তা নিয়েই আপত্তি তুলেছে শি জিনপিং সরকার। চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ করব আমরা।’’
এক ধাপ এগিয়ে এ বার চিনা প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র ট্যান কেফেই তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর ঘোষণা, ‘‘আমাদের সেনা কিন্তু চুপ করে বসে থাকবে না।’’ ১৯৭৯ সাল পর থেকে তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখেনি আমেরিকা। কিন্তু সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানকে সামরিক সহযোগিতা করে চলেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে চিন এ বার তাইওয়ান দখলে সক্রিয় হতে পারে বলে সামরিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা। কারণ, এক-চিন নীতির প্রবক্তা বেজিংয়ের কমিউনিস্ট নেতৃত্ব কখনওই পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে তাইওয়ানের অস্তিত্ব মানে না। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাপানে ‘কোয়াড’-এর বৈঠক চলাকালীন জানান, চিন আক্রমণ করলে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াবে আমেরিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy