প্রত্যর্পণ আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হংকং।—ছবি এপি।
প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ আইনের বিরোধিতা করে গত কাল লাখো মানুষ হংকংয়ের রাস্তায় নেমেছিলেন। আজ হংকং প্রশাসনের পাশে দাঁড়াল বেজিং। কড়া ভাষায় কালকের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সমালোচনা করলেন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ‘বাইরের’ কোনও হস্তক্ষেপ যে তাঁরা বরদাস্ত করবেন না, সে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন গেং। যা প্রকারান্তরে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দেওয়া বলেই মনে করছেন অনেকে।
গত মাসে আসলে হংকংয়ের প্রধান বিরোধী নেতা আমেরিকায় গিয়ে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো এবং হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিছু দিন আগেই সাংগ্রিলা সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গে নাম না করে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দেন। এ বার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রও হংকং নিয়ে আমেরিকাকে নাক না গলানোর কথা বলে রাখলেন। গেং বললেন, ‘‘এ (প্রত্যর্পণ আইন) বিষয়ে কোনও বহিরাগতের (বিদেশি শক্তি) হস্তক্ষেপ চিন বরদাস্ত করবে না।’’
হংকংয়ের প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি লাম সম্প্রতি প্রত্যর্পণ আইনে বদল আনার প্রস্তাব দেন। যেখানে বলা হয়, কোনও অপরাধীকে প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে। দেশগুলির মধ্যে চিন অন্যতম। আর এখানেই আপত্তি হংকংয়ের সাধারণ মানুষের। তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, এই আইন পাশ হয়ে গেলে হংকংয়ের মতো স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে চিনের কর্তৃত্ব ফলাতে আরও সুবিধে হবে। হংকংয়ের বর্তমান প্রশাসনিক প্রধান এমনিতেই চিন সরকারের প্রতি অনুগত। তার সঙ্গে প্রত্যর্পণ আইনে বদল এলে হংকংয়ের গণতন্ত্রের জন্য তা ভয়ঙ্কর হবে বলে মনে করছেন অনেকে। আর তাই প্রতিবাদে শামিল হতে লাখো মানুষ হংকংয়ের রাস্তায় নামেন। বিক্ষোভকারীদের আরও বক্তব্য, চিনের সমালোচনা পর্যন্ত যাতে আর কেউ করতে না পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা করছেন ক্যারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রিটিশ শাসন থেকে হংকং স্বাধীন হওয়ার সময়ে সেখানকার মানুষকে জমায়েত হওয়া এবং বাক্স্বাধীনতার অধিকার যে দেওয়া হয়েছিল, এখন সেই অধিকারও খর্ব করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন ক্যারি।
চিন অবশ্য আজ সেই প্রতিবাদেরই কড়া সমালোচনা করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘হংকং প্রশাসনের প্রতি আমাদের পুরো সমর্থন রয়েছে।’’ চিনের সরকারি সংবাদপত্রেও কালকের বিক্ষোভে অত মানুষের জমায়েত আসলে ‘কিছুই নয়’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, ‘যে সাত লক্ষ মানুষ ওই বিল আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন, তার সামনে এই ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের জমায়েতটা কোনও সংখ্যাই নয়।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy