সাংহাইয়ের ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এই কিটটি তৈরি করেছেন। ফাইল চিত্র।
মাত্র চার মিনিটেই মিলবে করোনা পরীক্ষার নির্ভুল ফলাফল। এমনই একটি টেস্ট-কিট তৈরির কথা জানাল চিন। করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত করতে পিসিআর পরীক্ষাই বিশ্ব জুড়ে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য। তবে তাতে ফল জানতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। র্যাট (র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট)-এ দ্রুত ফল জানা গেলেও, বহু সময় রিপোর্ট নির্ভুল আসে না বলে অভিযোগ। নয়া আবিষ্কৃত কিট-প্রসঙ্গে চিনের দাবি, এই কিটে পিসিআর পরীক্ষার মতোই নিখুঁত ফলাফল জানা যাবে। অথচ সময় লাগবে অনেক কম। মাত্র চার মিনিট।
সাংহাইয়ের ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এই কিটটি তৈরি করেছেন। সোমবার ‘নেচার বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামে একটি বিজ্ঞান সংক্রান্ত পত্রিকায় তাঁদের গবেষণাপত্রটি
প্রকাশিত হয়েছে।
এ বছরের শুরুতে ওমিক্রনের দাপটে বিশ্ব জুড়ে সংক্রমণ বেড়েছিল হু হু করে। এখন অনেক দেশেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে। ফলে কোভিড বিধি আলগা করার কথা ভাবছে অনেকেই। অতিমারির দুই বছর আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়া থাকলে বিদেশিদের জন্যে সে দেশের দরজা খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তাতে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য তো বটেই, বিশেষ করে বিদেশি পড়ুয়ারা অনেকটাই স্বস্তি পাবেন। করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়রান্টিন বিধি তুলে নেওয়ার পথে এগোচ্ছে রাশিয়াও। মূলত টিকাকরণের ভরসাতেই এই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দেশগুলি।
তবে বাধ্যতামূলক টিকানীতির জন্যে বিক্ষোভ-সমালোচনার মুখেও পড়েছে কয়েকটি দেশের সরকার।
গত এক মাস ধরে বাধ্যতামূলক টিকানীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে কানাডায়। আমেরিকা-কানাডার আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরোতে গেলে ট্রাকচালকদের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছিল জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। তার বিরুদ্ধেই প্রথমে বিক্ষোভ শুরু করেন ট্রাকচালকেরা। কিন্তু গত এক মাসে তা বৃহত্তর রূপ নিয়েছে। রাজনৈতিক রং লেগেছে ওই আন্দোলনে। বিক্ষোভ-সমাবেশের অনুমতি দিলেও কড়া হাতে পরিস্থিতির উপর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে ট্রুডোর সরকার।
অন্য দিকে, কানাডার ধাঁচে বাধ্যতামূলক টিকা-নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে নিউজ়িল্যান্ডেও। মঙ্গলবার রাজধানী ওয়েলিংটনে পার্লামেন্টের সামনের রাস্তায় শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ দেখান কয়েক হাজার মানুষ। ট্রাক আর গাড়ির হর্ন বাজিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ জানান। নিউজ়িল্যান্ডে স্বাস্থ্য, প্রশাসন, শিক্ষা, প্রতিরক্ষার মতো কিছু কিছু ক্ষেত্রে কর্মরতদের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। রেস্তরাঁ, স্টেডিয়াম বা ধর্মীয় সমাবেশের মতো কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে ভ্যাকসিন-পাস দেখাতে হয়।
আজকের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছিল তারই বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন অবশ্য বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা সংখ্যায় সামান্য। দেশের ৯৬% মানুষ টিকা নিয়েছেন। ফলে এখন কড়াকড়ির রাশ কিছুটা হলেও আলগা করা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy