গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সামরিক খাতে ৭ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করল চিন। শনিবার বেজিংয়ের ‘গ্রেট হল অফ দ্য পিপল’-এ জাতীয় আইনসভার বার্ষিক অধিবেশনে বাজেট পেশের সময় এই বার্তা দিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াং। তিনি জানিয়েছেন, ২০২২ সালে সামরিক খাতে ২৩,০০০ কোটি ডলার ( প্রায় ১৭ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা) খরচ করা হবে।
লাদাখ এবং তাইওয়ান ঘিরে উত্তেজনার আবহে ২০২১ সালে প্রথম বার ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি সামরিক খাতে খরচের ঘোষণা করেছিল চিন। এ বার তা আরও ৭.১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে শি জিনপিং সরকার প্রতিরক্ষা বাজেট ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছিল। তার পর এ বারই বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ।
বস্তুত, চিন সরকারের সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির হার জিডিপি বৃদ্ধির হারের লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ২০২২-এ জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। গত এক দশকের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। নানা আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি বাজেট বক্তৃতায় নতুন ১ কোটি ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলেছেন চিনা প্রধানমন্ত্রী।
তবে একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত সরকার প্রতিরক্ষা খাতে ঘোষণার চেয়ে অনেকটাই বেশি খরচ করে বলে ধারণা পশ্চিমী সামরিক পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলির। সুইডেনের প্রতিরক্ষা সমীক্ষা সংস্থা ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর ২০২১ সালের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে চিনের সামরিক খাতে প্রকৃত খরচ ছিল ২,৫২,০০ কোটি ডলার (প্রায় ২২ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা)। সে বছর প্রতিরক্ষা খরচের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল চিন। প্রথম স্থানাধিকারী আমেরিকা ৭৭,৮০০ কোটি ডলার (প্রায় ৫৮ লক্ষ ৩ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা) এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী ভারত ৭,২৯০ কোটি ডলার (প্রায় ৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ২১২ কোটি টাকা) সামরিক খাতে খরচ করেছিল সে বছর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy