রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে ফের জায়গা করে নিল চিন ও পাকিস্তান।
দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের আচরণ নিয়ে সমালোচনায় মুখর গোটা বিশ্ব। তার পরেও রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের সদস্যপদে টিকে রইল চিন ও পাকিস্তান। ২০২১-এর ১ জানুয়ারি থেকে আরও তিন বছরের জন্য সদস্য নির্বাচিত হল তারা।
২০০৬ সালে ৪৭ সদস্যের রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিষ্ঠা হয়। তার পর থেকে তিন বছরের জন্য সদস্য নির্বাচন হয়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিকে নিয়ে নির্বাচন হয়। তাতেই ফের পুনর্নির্বাচিত হয়েছে চিন ও পাকিস্তান।
চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, সৌদি আরব, কিউবা, উজবেকিস্তানের মতো দেশগুলিতে সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ নতুন নয়। যে কারণে গত সপ্তাহেই তাদের সদস্যপদ পাওয়ার বিরোধিতায় সরব হয়েছিল ইউরোপ, আমেরিকা এবং কানাডার বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তার পরেও মঙ্গলবার বিনা বিরোধিতায় সদস্য নির্বাচিত হয়েছে রাশিয়া এবং কিউবা।
আরও পড়ুন: খুন-অপহরণ-ধর্ষণের ভূরি ভূরি মামলা, বিহারে প্রার্থী তালিকায় মাফিয়ার ছড়াছড়ি
আরও পড়ুন: অনুরাগ বিতর্কে রিচার কাছে ক্ষমা চাইলেন পায়েল
১৯৭ সদস্যের সাধারণ সভায় গোপন ব্যালট পদ্ধতিতে ১৬৯ ভোটে সদস্য নির্বাচিত হয় পাকিস্তান। উজবেকিস্তানের পক্ষে ১৬৪টি ভোট পড়ে। নেপাল ১৫০ সদস্যের সমর্থন পায়। সেই তুলনায় কমই ভোট দেন চিনের পক্ষে, ১৩৯ জন। কমপক্ষে ৯৭ সদস্যের ভোট পেলে তবেই সদস্য নির্বাচিত হওয়া যায়। তাই ৯০ সদস্যের ভোট পেয়ে সদস্যপদ পেতে ব্যর্থ হয় সৌদি আরব।
এই নিয়ে পঞ্চম বার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হল পাকিস্তান। শেষ বার ২০১৮-র ১ জানুয়ারি থেকে সদস্য হিসেবে ওই পরিষদে যোগ দেয় তারা। ২০১৬ সালে ১৮০ ভোট পেয়েছিল চিন। এ বার তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এর জন্য সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের প্রতি তাদের আচরণকেই দায়ী করছেন কূটনীতিবিদরা।
২০১৮ সাল থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ভারত ও বাংলাদেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy