কঠিন রোগে ভুগছিল খুদে। তাই সুদূর মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় চিকিৎসা করাতে এসেছিল মায়ের সঙ্গে। মৃত্যুর হাত থেকে কন্যাকে বাঁচানোর জন্য ফিলাডেলফিয়ার একটি শিশু হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন মহিলা। কয়েক দিন চিকিৎসার পর কন্যাকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ফেরা হল না কারওরই। বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনেরই। এই দু’জন ছাড়াও এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও চার জনের। তাঁদের মধ্যে এক জন পাইলট, সহ-পাইলট, চিকিৎসক এবং এক জন প্যারামেডিক।
ফিলাডেলফিয়ার শ্রাইনার্স চিল্ড্রেন্স নামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল শিশুটির। শিশুটির যে হেতু জীবনদায়ী চিকিৎসা চলছিল, তাই তাঁকে স্থানান্তরের ঝুঁকিও ছিল। কোনও রকম ঝক্কি ছাড়াই এবং মেডিক্যাল সংক্রান্ত যাবতীয় সুবিধা রয়েছে এমন এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়। উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে জেট রেসকিউ এয়ারের ছোট বিমানটি রওনা দেয়। ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেটি রাস্তার উপরে ভেঙে পড়ে আগুন ধরে যায়। বিমানে থাকা ছ‘জনেরই মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:
এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং বিমান সংস্থাটি। জেট রেসকিউ এয়ারের মুখপাত্র সাই গোল্ড বলেন, ‘‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। দীর্ঘ দিন ধরে কঠিন রোগের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিল শিশুটি। সুস্থ হয়ে ওঠার একটা আশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল খুদে। কিন্তু তার আগেই সব শেষ।’’
ফিলাডেলফিয়ার রুজ়ভেল্ট মলের সামনে শুক্রবার সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়) বিমানটি ভেঙে পড়ে বলে জানিয়েছে আমেরিকার ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত লিয়ারজেট ৫৫ বিমানটিতে ছ’জন ছিলেন। সকলেরই মৃত্যু হয়েছে।