কানাডার সেনেটের স্পিকার রেমন্ড গ্যাগনে। ছবি: সংগৃহীত।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কানাডার সঙ্গে উত্তপ্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ভারতের। খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ গুজ্জরের হত্যায় ‘ভারতের ভূমিকার’ অভিযোগ তোলার পর নিরবচ্ছিন্ন বাগ্যুদ্ধ চলছে। বিতর্কে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে আমেরিকাকেও।
এই পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্বাভাবিক করার জন্য দু'তরফেরই কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত। আগামী ১২ তারিখ (চলবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত) নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলছে জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির স্পিকারদের সম্মেলন পি২০। সেখানে আসছেন কানাডার সেনেটের স্পিকার রেমন্ড গ্যাগনে। এ ব্যাপারে পাকা কথা হয়ে গিয়েছে বলে আজ জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
সূত্রের দাবি, পি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আসার কথা ছিল কানাডার সংসদীয় নিম্ন কক্ষের (হাউস অব কমন্স) নব মনোনীত অধ্যক্ষ গ্রেগ ফার্গুস-এর। কিন্তু কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্ট্রিন ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ, লিবারাল পার্টির সাংসদ গ্রেগ ফার্গুস নিজেও কানাডার শিখ সম্প্রদায়, বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ বলে পরিচিত। তাই বিতর্ক এড়াতে তাঁর জায়গায় রেমন্ড গ্যাগনেকেই দিল্লি পাঠাতে মনস্থ করেছেন ট্রুডো। অন্য দিকে, চিনের তরফে চিনা সংসদের (ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস) চেয়ারম্যান ঝাও লে শি-র নির্দেশে এক ভাইস চেয়ারম্যানকে দিল্লি পাঠাচ্ছে বেজিং।
এ দিকে, ভারতের অনুরোধ মেনে কূটনীতিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে কানাডা। কিছু দিন আগেই ভারতে নিযুক্ত কানাডার ৪১ কূটনীতিককে ফেরাতে বলেছিল দিল্লি। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী ওই একই বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন। ১০ অক্টোবরের মধ্যে কানাডার কূটনীতিকদের দেশে ফেরাতে হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারতে নিযুক্ত কানাডার কূটনীতিকদের সংখ্যা, কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকদের তুলনায় ‘বেশি’। এই আবহে কূটনীতিকদের সংখ্যায় সামঞ্জস্য আনতে ৪১ জনকে ফেরাতে বলা হয়েছে কানাডাকে। জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি থেকে কানাডার রাষ্ট্রদূতদের সিঙ্গাপুর ও কুয়ালা লামপুরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে কানাডা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy