লিজ় জমানার অনেক মন্ত্রীকে সরালেন ঋষি, ফেরালেন বরিসের আমলের কয়েক জনকে। ফাইল চিত্র।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পরেই বুধবার পুরনো একঝাঁক মন্ত্রীকে ছাঁটাই করলেন ঋষি সুনক। পাশাপাশি, পূর্বসূরি লিজ় ট্রাসের জমানায় বাদ পড়া এবং ইস্তফা দেওয়া কয়েক জন কনজ়ারভেটিভ নেতা-নেত্রীকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়েছেন তিনি।
ব্রিটেনের নয়া উপপ্রধানমন্ত্রী পদে ডমিনিক রাবকে নিয়োগ করেছেন তিনি। বরিস জনসনের মন্ত্রিসভাতেও উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাব। গত ৫ জুলাই বরিসের ইস্তফার পরে প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার ঋষির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এমনকি, সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত দফার ভোটাভুটির আগে স্যার রবার্ট বাকল্যান্ডের মতো কনজ়ারভেটিভ পার্টির প্রবীণ নেতা ঋষির পাশ থেকে সরে গিয়ে লিজ়কে সমর্থন করলেও রাব সে পথে হাঁটেননি।
মন্ত্রিসভায় ঋষি ফিরিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেত্রী সুয়েলা ব্রেভারমানকেও। লিজ়ের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে গত ২০ অক্টোবর ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সুয়েলা। আলটপকা মন্তব্যের জন্য সম্প্রতি একাধিক বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি। কিছু দিন আগে সুয়েলা বলেন, ‘‘ভিসার মেয়াদের চেয়ে বেশি সময় থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা ভারতীয়দের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি।’’ এর ফলে নয়াদিল্লির নিশানা হতে হয় লন্ডনকে। এর পর হাউস অব কমন্সে তিনি ব্রিটেনে সাম্প্রতিক ধর্মঘটের জন্য বিরোধী লেবার পার্টিকে দায়ী করে উপহাসের মুখে পড়েন। গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেমে দ্বিতীয় রাউন্ডেই হেরে গিয়েছিলেন সুয়েলা।
অর্থমন্ত্রী পদে ঋষি ফিরিয়েছেন ‘দক্ষ প্রশাসক’ হিসাবে পরিচিত জেরেমি হান্টকে। গত ২১ অক্টোবর লিজ়ের ইস্তফার পরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন হান্টের নাম নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের অন্দরে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু হান্ট নিজেই জানিয়ে দেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। ব্রিটেনের আর্থিক হাল ফেরাতে তিনিই যোগ্য ব্যক্তি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। সুয়েলার ইস্তফার পরে গত বুধবার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে গ্রান্ট শ্যাপসকে নিযুক্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী লিজ়। করোনাকালে ব্রিটেনের পরিবহণ মন্ত্রী ছিলেন তিনি। এ বার তাঁকে বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন ঋষি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কট্টর মস্কো-বিরোধী অবস্থানের জন্য আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিলেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। তাঁকেও নতুন সরকারে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার ইতিমধ্যেই ওয়ালেসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর্থিক অপরাধ এবং সন্ত্রাস বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ওয়ালেস। এর আগে অশান্ত নর্দার্ন আয়ার্ল্যান্ড বিষয়ক দফতরের দায়িত্বও সামলেছেন ৫২ বছরের এই নেতা। প্রধানমন্ত্রী পদের আর এক দাবিদার পেনি মর্ডন্টকে ‘হাউস অফ কমন্স’-এর নেতা হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে। গত বার চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তিনি। কিন্তু পঞ্চম রাউন্ডে ছিটকে যান। পেনিকে পিছনে ফেলে ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে উঠে এসেছিলেন লিজ়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy