সিগারেটের একটি টুকরো রাস্তায় ফেলার জন্য ইংল্যান্ডের বাসিন্দাকে জরিমানা দিতে হবে হাজার হাজার টাকা। প্রতীকী ছবি।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে সুখটান দেওয়ায় নিয়মমাফিক জরিমানা করা হয়েছিল। তবে তাতে তোয়াক্কাও করেননি ইংল্যান্ডের এক বাসিন্দা। উল্টে সিগারেটের টুকরোটি রাস্তায় ফেলে নিয়মরক্ষকদের সামনে দিয়েই হেঁটে চলে যান তিনি। গত অগস্টের এই ঘটনায় আরও বড়সড় শাস্তির মুখে পড়েছেন ওই ব্যক্তি। ধূমপান করে রাস্তায় সিগারেটের টুকরো ফেলার অপরাধে সম্প্রতি তাঁকে ৫৫,০০০ টাকার বেশি জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম ‘মেট্রো নিউজ়’ জানিয়েছে, ১৭ অগস্ট থর্নবেরি হাই স্ট্রিটে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিলেন গ্লস্টারশায়ারের বাসিন্দা অ্যালেক্স ডেভিস। ইংল্যান্ডের রাস্তায় এ ভাবে জনসমক্ষে ধূমপানের ফলে তাঁকে প্রথমে আইনমাফিক ১৫,০০০ টাকা জরিমানা করেন নিয়মরক্ষকরা। তবে তাতে হেলদোল হয়নি অ্যালেক্সের। বরং সিগারেটের টুকরো রাস্তায় ছুড়ে ফেলে হাঁটা দেন তিনি। ওই জরিমানার নোটিস অগ্রাহ্য করার তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে সাউথ গ্লস্টারশায়ার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ। অ্যালেক্সের বিরুদ্ধে আদালতে যান তাঁরা। কাউন্সিলের ক্যাবিনেট সদস্য র্যাচেল হান্ট বলেন, ‘‘অনেকেরই সিগারেটের টুকরো ফেলে রাস্তা নোংরা করার অভ্যাস রয়েছে। ওই ব্যক্তিও (অ্যালেক্স) তা-ই করেছেন। তবে জরিমানা দেওয়ার চেষ্টাও করেননি। তাই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হই আমরা।’’
অ্যালেক্সকে দোষী সাব্যস্ত করে সম্প্রতি ব্রিস্টলের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের নির্দেশ, নিমমাাফিক জরিমানা ছাড়াও ‘ভিক্টিম সারচার্জ’ দিতে হবে তাঁকে। সব মিলিয়ে জরিমানার অঙ্ক গিয়ে ঠেকেছে ৫৫,০০০ টাকার বেশি।
যত্রতত্র সিগারেটের টুকরো ফেলার অভ্যাস রয়েছে বহু ধূমপায়ীর। যা পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন র্যাচেল। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় ফেলে দেওয়া সিগারেটের টুকরোগুলিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যাতে পচন ধরতে ১৮ মাস থেকে ১০ বছর সময় লাগে।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক এক শাখা (ইউএনইপি) জানিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে আবর্জনার অন্যতম প্রধান উৎস সিগারেটের টুকরো। বিশ্বের ১০০ কোটি ধূমপায়ীর জন্য প্রতি বছর সিগারেট উৎপাদিত হয় ৬০০,০০০ কোটি। তার টুকরো থেকে ফি বছর ৭৬.৬৬ কোটি কিলোগ্রাম এই বিষাক্ত আবর্জনা তৈরি হয়। পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, সিগারেটের ফিল্টারে সেলুলোজ এসেটেট ফাইবার রয়েছে। ঠিক মতো নষ্ট করা না হলে সূর্যরশ্মি বা আর্দ্রতার প্রভাবে সেগুলির থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক, হেভি মেটাল-সহ নানা রাসায়নিক নির্গত হতে থাকে, যা পরিবেশ তথা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy