প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের তত্ত্ববধানে কোনও নির্বাচনে অংশ না-নেওয়া, ভোট বয়কটের পক্ষে প্রচারের ঘোষণা হয়েছিল আগেই। এ বার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘সাজানো নির্বাচন’ করার অভিযোগে তুলে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ চাইল বিরোধী দল বিএনপি।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান খালেদা জিয়ার দলের তরফে রবিবার সে দেশের ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘‘গত দু’মাস ধরে শাসকদলের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশ জুড়ে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বাসে-ট্রেনে হামলা, অগ্নিসংযোগ করানো হচ্ছে। তার পরে শাসকদলের নির্দেশে মিথ্যা অভিযোগে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।’’
আরও পড়ুন:
রাষ্ট্রপুঞ্জে বিএনপির অভিযোগ, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদের দু’টি নির্বাচনের মতো আওয়ামী লীগের সরকার আবার হিংসা ও কারচুপির মাধ্যমে একতরফা, প্রহসনের ভোট করাতে চলেছে বাংলাদেশে। আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে। কিন্তু বিএনপি এবং তাদের সহযোগী জামাতে ইসলামি-সহ কয়েকটি দল নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই পথে হেঁটেছে কয়েকটি বামদলের জোটও। ‘নির্দলীয় এবং নিরপেক্ষ’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাপনায় ভোটের দাবি জানিয়েছে তারা।