শেখ মুজিবুর রহমান।
করোনার জন্য জনসমাবেশে রাশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আতশবাজির রঙিন উৎসবে তাই সূচনা হল স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী। জন্মক্ষণের সঙ্গে মিল রেখে রাত ৮টায় ‘মুক্তির মহানায়ক’ নামে অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ঢাকার নানা জায়গায় একযোগে শুরু হয় আতশবাজি প্রদর্শনী।
এর পর বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস।” প্রধানমন্ত্রী ও শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা জেগে থাকব তোমার আদর্শ বুকে নিয়ে। জেগে থাকবে এ দেশের মানুষ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম, তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে। তোমার দেওয়া পতাকা সমুন্নত থাকবে চিরদিন।” এর পর মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদ ভবনের আলোকসজ্জা উদ্বোধন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
করোনার সংক্রমণ রুখতে অনুষ্ঠান থেকে আড়ম্বর বাদ দিতে হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী নেতা শেখ মুজিবের জন্ শতবর্শ অনুষ্ঠানের সূচনায়ম হাজির থাকার জন্য। সেই সফরও স্থগিত হয়ে গিয়েছে।এদিনের অনুষ্ঠানে ভিডিয়ো বার্তায় মোদী বলেন, “খুব ভালো লাগে, যখন দেখি বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রিয় দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলায়’ রূপান্তর করার জন্য দিন-রাত কাজ করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু মানে— এক জন সাহসী নেতা, দৃঢ়চেতা মানুষ, এক জন ঋষিতুল্য শান্তিদূত, ন্যায়, সাম্য ও মর্যাদার রক্ষাকর্তা এবং যে কোনও জোরজুলুমের বিরুদ্ধে ঢাল।”
কলকাতায় বাংলাদেশের প্রথম কূটনৈতিক ভবন, বাংলাদেশ উপদূতাবাসে ১৭ তারিখ পড়ামাত্র আতশবাজি পুড়িয়ে, কেক কেটে মুজিবের জন্মদিন পালন করা হয়। সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রীরা ছাড়া ছিলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy