গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্তরে বড় কূটনৈতিক জয় হল ভারতের। চিন ও পাকিস্তানের দাবি আদৌ ধোপে টিঁকল না রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে। কাশ্মীর নিয়ে বিরল রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের বেশির ভাগ দেশই বলল, এটা একেবারেই ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। কাশ্মীরকে অযথা আন্তর্জাতিক করে তোলার কোনও প্রয়োজনই নেই। চিন ও পাকিস্তানের তরফে যে দাবি জানানো হয়েছিল।
৩৭০ ধারা রদের প্রেক্ষিতে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি দেশ অবশ্য বৈঠকে বসেছিল, ভেটো দেওয়ার অধিকার থাকা গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চিনেরই অনুরোধে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সূত্রের একটি রিপোর্ট, সেই বৈঠকেও ১৫টি দেশের মধ্যে বেশির ভাগ দেশই বলে, কাশ্মীর একেবারেই ভারত ও পাকিস্তানের নিজেদের মধ্যেকার ইস্যু। এটা ওই দুই দেশই আলাপ, আলোচনায় মিটিয়ে নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে অন্য কোনও দেশের এই ইস্যু নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই।
সিমলা চুক্তি বা তারও আগে থেকে ভারত যা বরাবরই চেয়ে এসেছে। ফলে, ভারতের অবস্থানই মান্যতা পেল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে।
চিন চেয়েছিল, এ দিনের বৈঠকের পর এই অগস্টে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট দেশ হিসেবে পোল্যান্ড, বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের কাছে একটি সরকারি বিবৃতি দিক। পরে পাকিস্তানও চিনের সুরে সুর মেলায়। তা সমর্থন করে ব্রিটেনও।
আরও পড়ুন- ‘দু’পক্ষ বসেই কাশ্মীর সমস্যা মেটান’, ইমরানকে ফোনে বললেন ট্রাম্প
আরও পড়ুন- মুর্খের স্বর্গে বাস করা উচিত নয়, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানবাসীকে বার্তা কুরেশির
কিন্তু কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, এই যুক্তিতে পোল্যান্ড সেই বিবৃতি দিতে রাজি হয়নি। পোল্যান্ডের তরফে জানানো হয়, চাইলে, এই ইস্যুতে জাতীয় স্তরে বিবৃতি দিতে পারে চিন ও পাকিস্তান। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের মতো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হবে না। কারণ সেই বিবৃতি দেওয়া মানেই কাশ্মীর ইস্যুটি আন্তর্জাতিক হয়ে গেল। যাতে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের বেশির ভাগ দেশেরই আপত্তি রয়েছে।
পোল্যান্ড এটা জানিয়ে দেওয়ার পর অবশ্য রাষ্ট্রপুঞ্জে চিনের প্রতিনিধি ঝাং জুন ও পাক প্রতিনিধি মালিহা লোধি আলাদা ভাবে সংবাদমাধ্যমে যথাক্রমে চিন ও পাকিস্তানের জাতীয় বক্তব্য জানান। তবে তাঁরা এই ব্যাপারে কোনও সাংবাদিকের প্রশ্ন গ্রহণ করেননি। ফলে, চিন ও পাকিস্তান- দু’টি দেশই তাদের জাতীয় স্তরের বক্তব্যের ব্যাখ্যা থেকে নিজেদের দূরে রেখেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy