Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে নিন্দিত মালালা

পাক নোবেলজয়ীর মুখ থেকে এ কথা বেরনোর পরপরই শুরু হয়ে যায় সমালোচনার ঝড়।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদসংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৯ ০১:১৮
Share: Save:

কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলে নেট-কটূক্তির শিকার হলেন মালালা ইউসুফজাই। বালুচিস্তান নিয়ে চুপ কেন, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের নিয়ে চুপ কেন— এই সব প্রশ্নই ধেয়ে এল তাঁর দিকে। কেউ কেউ এমনও বললেন, কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করায় মালালার উপরে শ্রদ্ধাই চলে গেল তাঁদের।

কাশ্মীর নিয়ে কী বলেছেন মালালা? বৃহস্পতিবার তিনি টুইট করেন, ‘‘আমি যখন ছোট, তখন থেকে কাশ্মীর অশান্ত। আমার বাবা-মা যখন ছোট, আমার দাদু-দিদা যখন ছোট, তখন থেকে কাশ্মীর অশান্ত। সাত দশক ধরে কাশ্মীরের শৈশব হিংসার মধ্যে বড় হচ্ছে।... কাশ্মীরের মহিলা এবং শিশুদের কথা ভেবে আমি উদ্বিগ্ন। হিংসার বাতাবরণে সবচেয়ে বেশি বিপন্ন তাঁরাই হন, সংঘাতের পরিবেশে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা তাঁদেরই ভোগ করতে হয়। আমি আশা করব, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ, আন্তর্জাতিক মহল এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ তাঁদের কথা ভাববেন। যত মতভেদই থাকুক, আমরা যেন মানবাধিকারকে রক্ষা করি, মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিই এবং কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজি।’’

পাক নোবেলজয়ীর মুখ থেকে এ কথা বেরনোর পরপরই শুরু হয়ে যায় সমালোচনার ঝড়। এর আগেও কাশ্মীরে মানবাধিকার নিয়ে কথা উঠলে ভারতের তরফে বালুচ-তাস এগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিন টুইটারেও তার পুনরাবৃত্তি হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর গৌরব আচার্য লেখেন, ‘‘মালালা আপনি কখনও কাশ্মীর দেখেননি। কিন্তু আপনার বাড়ি, মানে সোয়াট থেকে বালুচিস্তান বেশি দূর নয়। আপনি যখন ছোট, বালুচিস্তানও অশান্ত ছিল। আপনার বাবা-মা, দাদু-দিদা যখন ছোট, তখনও বালুচিস্তান অশান্ত ছিল। মনে পড়ছে?’’ খাস বালুচিস্তান থেকেও অনেকে গৌরবের সঙ্গে গলা মেলান। ভারতের নেটিজেনদের একাংশ মালালাকে পাক চর, পাক পুতুল বলেও আক্রমণ করেন। কেউ কেউ দাবি করেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যই নন মালালা। অনেকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, কাশ্মীর নিয়ে কিসের এত দরদ মালালার!

মালালার লেখায় অবশ্য এর উত্তর গোড়া থেকেই ছিল। তিনি আগেই লিখেছেন, ‘‘আমি কাশ্মীর নিয়ে চিন্তিত, কারণ দক্ষিণ এশিয়াই আমার ঘর। ১৮০ কোটি মানুষের সঙ্গে সেই ঘরে আমার বাস, যার মধ্যে কাশ্মীরিরাও আছেন। আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে শান্তিতে থাকা সম্ভব। পরস্পরকে আঘাত করে চলার কোনও প্রয়োজন তো নেই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy