ছবি: সংগৃহীত।
কাশ্মীরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে গিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের মুখ পোড়াল পাকিস্তান।
মলদ্বীপের পার্লামেন্টে আজ থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির আইনসভার স্পিকারদের চতুর্থ শীর্ষ বৈঠক। আলোচনার বিষয় ‘স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন’। কিন্তু সেই মঞ্চেও আজ আচমকা কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে হইচই বাধানোর চেষ্টা করল পাকিস্তান। বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জবাব দিল দিল্লি। দু’পক্ষের বাদানুবাদের সময়ে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিদের দেখা গেল— কেউ মুখ টিপে হাসছেন, কেউ নাগাড়ে ছবি তুলছেন, কারও মুখ গোমড়া। মলদ্বীপের স্পিকার মহম্মদ নাশিদকে বারবার দু’পক্ষকে সংযত করার চেষ্টা করলেন। তরজা তবু থামে না! শেষমেশ মধ্যাহ্নভোজের বিরতি ঘোষণা করলেন নাশিদ।
উত্তেজনার সূত্রপাত পাকিস্তানি ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির বক্তব্যে। সভার মাঝপথে হঠাৎ তিনি বলতে শুরু করেন, ‘‘কাশ্মীরে সাধারণ মানুষের উপরে যে ভাবে আগ্রাসন ও অবিচার চলছে, তা কোনও ভাবেই উপেক্ষা করা যায় না।’’ তাঁকে মাঝপথে থামিয়ে ‘পয়েন্ট অব অর্ডার’ তোলেন ভারতের রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ। তিনি অভিযোগ করেন, অযথা রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে ফোরামের সুরভঙ্গ করছেন কাসিম। কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে তাঁর পাল্টা তোপ— ‘‘অবিলম্বে সীমান্তপারের সন্ত্রাস-সহ সব ধরনের জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়া বন্ধ করা উচিত পাকিস্তানের।’’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাইক হাতে নেন মলদ্বীপের স্পিকার নাশিদ। তত ক্ষণে নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছেন পাক সেনেটর কুরাতুলাইন মারি। কাশ্মীরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ স্থায়ী উন্নয়নের সঙ্গেই সম্পর্কিত বলে সুর চড়াতে শোনা যায় তাঁকে। মলদ্বীপের স্পিকার অল্প সময়ের জন্য মারি-কে থামাতেই হরিবংশ বলেন, ‘‘যে পাকিস্তান নিজের দেশেই (পূর্ব পাকিস্তানে, যা এখন বাংলাদেশ) গণহত্যা চালায়, কাশ্মীর নিয়ে তার কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।’’ পাক সেনেটর মাঝপথে বলার চেষ্টা করেছিলেন, পাকিস্তান নিজেও সন্ত্রাসবাদের শিকার। কিন্তু ভারত তাতে আমল দেয়নি। মলদ্বীপের স্পিকারও পাকিস্তানকে বলেন, ‘‘পয়েন্ট অব অর্ডারের পাল্টা পয়েন্ট অব অর্ডার তোলা যায় না।’’
সূত্রের খবর, পাকিস্তান যে এখানে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলতে পারে, তা আগেই আন্দাজ করেছিল লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। সেই মতো প্রস্তুতিও ছিল। আলোচ্য বিষয়ের বাইরে যাওয়া নিয়ে মলদ্বীপও পাকিস্তানকে সতর্ক করেছিল। মলদ্বীপের স্পিকার আশ্বাস দিয়েছেন, কাশ্মীর-তরজার সবটাই বাদ রাখা হবে এ দিনের রেকর্ড থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy