কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলুক ভারত, পাকিস্তান। আর সেই হাত মিলিয়ে দিক চিন, চাইছে বেজিং। চাইছে, এই ভাবেই শান্তি ফিরে আসুক এই অঞ্চলে। দ্রুত, আর তা স্থায়ী হোক।
সোমবার এ কথা বললেন ভারতে চিনা দূত লুও শাওহুই। দিল্লিতে, একটি সেমিনারে।
‘উহানের পর: কত দূর যেতে পারে ভারত-চিন সম্পর্ক, কত দ্রুত’ শীর্ষক ওই সেমিনারে এ দিন শাওহুই বলেন, ‘‘আমার কয়েক জন ভারতীয় বন্ধু প্রস্তাব দিয়েছেন, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকের এক ফাঁকে ভারতকে নিয়ে তো আলাদা ভাবে বলতে পারে চিন, পাকিস্তান। এটা খুবই গঠনমূলক ভাবনা।’’
গত এপ্রিলেই উহানে এসসিও-র বৈঠকের ফাঁকে আলাদা ভাবে কথা বলতে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং।
বৃহত্তর ভৌগোলিক এলাকায় শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে এমন ত্রিপাক্ষিক বৈঠক যে এর আগেও হয়েছে, সেটাও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি ভারতে চিনা দূত।
আরও পড়ুন- বাণিজ্য যুদ্ধে পাল্টা হানা বেজিংয়ের
আরও পড়ুন- বাণিজ্য সংঘাত, মার্কিন পণ্যে এ বার পাল্টা শুল্ক চাপাল ভারত
শাওহুইয়ের কথায়, ‘‘শান্তি ফেরাতে এর আগে একই ভাবে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছে চিন, রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়া। তাতে কাজও হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে চিনের আলাদা ভাবে বৈঠকে না বসার কোনও কারণ থাকতে পারে না। লক্ষ্যটা যখন শান্তি ফেরানো। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখাটা তো সব দেশেরই দরকার।’’
শাওহুই বুঝিয়ে দিয়েছেন, উন্নততর বাণিজ্যের জন্য বৃহত্তর ভৌগোলিক এলাকায় শান্তির প্রয়োজনই সর্বাগ্রে। আর তার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলিকে ছোট ছোট কিছু স্বার্থত্যাগ করতেই হবে।
ভারতে চিনা দূত বলেছেন, ‘‘ডোকলামের মতো ঘটনা আবার ঘটুক, চায় না চিন। বরং ভারত, পাকিস্তান আর চিনের ভৌগোলিক এলাকায় দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক আর তা স্থায়ী হোক, এটাই বেজিংয়ের কাম্য। আর তা হোক যৌথ প্রচেষ্টায়।’’
গত এপ্রিলেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং বলেন, ভারত-চিন-ভূটান সীমান্তের ডোকলামে টানা ৭৩ দিনের উত্তেজনা এখন অতীতের ঘটনা। ভবিষ্যতে যাতে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করে তোলার ওপরেও জোর দিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট।
কী ভাবে একটি বৃহত্তর ভৌগোলিক এলাকায় শান্তি ফেরানো আর তাকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলা যায়, টুইট করে তারও উপায় বাতলেছেন ভারতে চিনা দূত।
টুইটে শাওহুই লিখেছেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের জন্য আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আরও বেশি। বিভিন্ন বিষয়ে দূরত্বগুলি কমিয়ে আনতে হবে দ্রুত। জরুরি ভিত্তিতে।’’
My 4-point vision for future #China-#India cooperation:
— Sun Weidong (@China_Amb_India) June 18, 2018
Sign a Treaty of Friendship and Cooperation, negotiate a bilateral Free Trade Agreement, enhance connectivity and work for early harvest on boundary issues.
We need to control, manage & narrow differences through expanding cooperation. The boundary question was left over by history. We need to find a mutual acceptable solution through Special Representatives' Meeting while adopting confidence building measures. pic.twitter.com/v9cXwpAPHx
— Sun Weidong (@China_Amb_India) June 18, 2018
ভারত-চিন সম্পর্ককে আরও জোরদার করে তোলারও চারটি উপায় বাতলেছেন শাওহুই, তাঁর টুইটে।
বলেছেন, ‘‘দরকার চারটি জিনিস। এক, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চুক্তি। দুই, দ্বিপাক্ষিক অবাধ বাণিজ্যের চুক্তি। তিন, দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও কাজের ক্ষেত্রগুলির সম্প্রসারণ। চার, সীমান্ত সমস্যা ও পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভাবে ফি বছর পর্যালোচনা।’’
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চিন আগামী দিনে গোটা বিশ্বেই প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে চাইছে। আর তার জন্যই বিশ্বশান্তির জন্য এতটা উঠেপড়ে লেগেছে বেজিং। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ঐতিহাসিক বৈঠকের পিছনেও তাই হাত ছিল বেজিংয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy