সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। —ফাইল চিত্র।
পরিবার নিয়ে রাশিয়ায় পৌঁছেছেন সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে মস্কো। মানবিক কারণে আসাদকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল।
সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস এখন বিদ্রোহীদের দখলে। রবিবার সকালে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন আসাদ। তাঁকে বিমানে উঠতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি কোথায় গিয়েছেন, তা স্পষ্ট হচ্ছিল না। দামাস্কাস থেকে আসাদের গন্তব্য সম্বন্ধে নিশ্চিত করে কেউই কিছু বলতে পারছিলেন না। এর মধ্যে গুজব রটে, আসাদের বিমান আকাশে উড়তে দেখা গেলেও মাঝ আকাশে তা নাকি উধাও হয়ে গিয়েছে। আর দেখা যায়নি সেই বিমান। সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ল কি না, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। অনেকে দাবি করছিলেন, বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আসাদের। তবে সোমবার সকালে সে সব জল্পনার অবসান হল। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়ে দিল, ‘বন্ধু’র কাছে আশ্রয় পেয়েছেন আসাদ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মানবিক কারণে তাঁকে নিজের দেশে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সপরিবার মস্কোয় পৌঁছেও গিয়েছেন আসাদ।
রাশিয়ার একটি সরকারি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, ‘‘সিরিয়া সঙ্কটের একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক সমাধানের কথা দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছে রাশিয়া। আমরা চাই, রাষ্ট্রপুঞ্জের তৎপরতায় এ বিষয়ে আবার কথাবার্তা শুরু হোক।’’
সিরিয়ায় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেও রাশিয়া যোগাযোগ রেখেছে, দাবি সে দেশের সংবাদমাধ্যমের। বিদ্রোহী নেতারা সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ান সেনাঘাঁটি এবং দূতাবাস সুরক্ষিত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। মস্কো এ-ও জানিয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিরিয়ার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত এবং রাশিয়া-সিরিয়া সম্পর্কের উন্নতিতে আগ্রহী পুতিন। এ বিষয়ে রাজনৈতিক সংলাপ চালিয়ে যেতে চান তিনি।
২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে ছিলেন আসাদ। দীর্ঘ দিন ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। সম্প্রতি তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একজোট হন বিদ্রোহীরা। গত কয়েক দিন ধরে একের পর এক শহর দখল করে নিয়ে বিদ্রোহীরা এগোচ্ছিলেন দামাস্কাসের দিকে। রবিবার সকালে বিদ্রোহীরা রাজধানীতে ঢুকে পড়েন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আসাদ। গৃহযুদ্ধে তিনি বরাবরই পুতিনের সমর্থন পেয়েছিলেন। ২০১১ সালে আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সমর্থন করেছিল আমেরিকা। সিরিয়ার সাম্প্রতিক সঙ্কটে অবশ্য আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাক গলাতে আগ্রহী নন বলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy