ব্রাজিলের সেই জেল। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
জেলের মধ্যেই দু’দল ড্রাগ পাচারকারীর মধ্যে তুলকালাম সংঘর্ষে কম করে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রক্ষীদের সামনেই জেলের একটি সেলে আগুন লাগিয়ে দেয় একদল ড্রাগ পাচারকারী বন্দি। যে ১৬ জন প্রাণে বাঁচতে সেল থেকে কোনও ভাবে বেরিয়ে এসেছিল, তাদের ধরে বড় ছুরি দিয়ে মাথা কেটে ফেলা হয়। পরে সেই কাটা মুণ্ডগুলি নিয়ে ফুটবল খেলতে দেখা যায় অন্য বন্দিদের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ব্রাজিলের পারা প্রদেশের আলতামিরায়। ভারতীয় সময় সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটেয়।
পরে এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জেলের যে সেলে ড্রাগ পাচারকারীদের একটি কুখ্যাত চক্র ‘কম্যান্ডো ভারমেলহো’ বা ‘রেড কম্যান্ড গ্যাং’-এর অপরাধীরা বন্দি ছিল, সেটিতে গিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় ড্রাগ পাচারকারীদের প্রতিদ্বন্দ্বী চক্র ‘কম্যান্ডো ক্লাস এ গ্যাং’-এর বন্দিরা। আগুনে পুড়েই মৃত্যু হয় বেশির ভাগ বন্দির।
আরও দেখুন- অনুরাগী তিন কোটি, ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় ১২ লাখ, চারপেয়ে এই মডেলের কাছে কুপোকাত অনেক মহাতারকাও!
আরও পড়ুন- একটা চাকরি হবে? ইনস্টাগ্রামে বায়োডেটা দিলেন নেমারের সতীর্থ
পারা প্রদেশের কারা বিভাগের অধিকর্তা জারবাস ভাসকনসেলস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই হামলার খবর জেল কর্তৃপক্ষের ছিল না। তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ভেবেচিন্তেই হামলা চালিয়েছিল ড্রাগ পাচারকারীদের একটি চক্র।
জেলের সেলে পড়ে রয়েছে বন্দির দেহ। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
ব্রাজিলে কুখ্যাত ড্রাগ পাচারকারীদের মধ্যে এগিয়ে থাকা গ্যাংগুলির অন্যতম- ‘কম্যান্ডো ভারমেলহো’ বা ‘রেড কম্যান্ড গ্যাং’। যাদের মূল ভিত্তিটা রিও ডি জেনেইরোতে। তবে পরে তারা ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর ব্রাজিলেও।
দেখুন সেই ভিডিয়ো
কয়েদিতে ভরা ব্রাজিলের জেলগুলিতে এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। গত মে মাসেই উত্তর ব্রাজিলের আমাজোনাসে জেলে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৫ জনের মৃত্যু হয়। বছরদু’য়েক আগে ওই আমাজোনাসেই এক সপ্তাহ জুড়ে জেলে জেলে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ১৫০ জনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy