বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সাড়ে চার মাসে সাম্প্রদায়িক কারণে কারও মৃত্যুর প্রমাণ মেলেনি। এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং। পরে প্রধান উপদেষ্টার সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলেও এই তথ্য তুলে ধরা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের একটি মিলিত মঞ্চ দাবি করে, গত বছরের ২১ অগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭৪টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২৩ জন সংখ্যালঘুকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। ওই অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতে সোমবার ইউনূসের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, ওই সময়ে কোনও সংখ্যালঘুর মৃত্যুতে সাম্প্রদায়িক যোগ পাওয়া যায়নি।
ইউনূস প্রশাসন জানিয়েছে, সংখ্যালঘু মঞ্চের ওই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে। কোন ২৩টি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সে বিষয়ে তথ্যও সংগ্রহ করা হয়। সেই তালিকা পাঠানো হয় পুলিশের কাছে। কী ঘটেছিল এবং কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতর থেকে। অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, ওই ২৩টি ঘটনার মধ্যে একটির বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। বাকি ২২টি ঘটনার বিষয়ে ইতিমধ্যে আইনি পদক্ষেপও করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনাগুলির মধ্যে একটির সঙ্গেও সাম্প্রদায়িক হিংসার কোনও যোগ নেই বলে দাবি ইউনূস প্রশাসনের।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, ওই ২২টি ঘটনার মধ্যে কোনওটি আত্মহত্যা, কোনওটি আবার দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যুও রয়েছে। ইউনূস প্রশাসন জানিয়েছে, ওই ঘটনাগুলির মধ্যে সাতটি ঘটনার সঙ্গে চুরি জড়িয়ে রয়েছে, চারটি ঘটেছে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এবং দু’টি ঘটনার সঙ্গে ব্যবসায়িক শত্রুতা জড়িয়ে রয়েছে। এ ছাড়া বাকিগুলির সঙ্গে অতিরিক্ত মদ্যপান, দু’পক্ষের মারামারিতে মৃত্যু, ধর্ষণ, জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ জড়িয়ে রয়েছে। এ ছাড়া যে ঘটনাটিতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ মেলেনি, সে ক্ষেত্রেও সাম্প্রদায়িক কোনও যোগ নেই বলে দাবি ইউনূস সরকারের। তারা জানিয়েছে, এই ঘটনাগুলিতে ইতিমধ্যে ২১টি মামলা রুজু হয়েছে এবং ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।