Advertisement
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
Bangladesh Interim Government

আওয়ামী লীগকে কর্মসূচির অনুমতি দিচ্ছে না সরকার

৫ অগস্টের পরে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে নতুন সরকারের সমর্থক বাহিনী আওয়ামী লীগের বহু নেতাকে মারধর এমনকি খুনও করেছে।

মুহাম্মদ ইউনূস।

মুহাম্মদ ইউনূস। — ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫১
Share: Save:

নির্বাচন তো দূরের কথা, আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করল মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার বলেন, “তাদের আগে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। তত দিন কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না। এটা সরকারের স্পষ্ট অবস্থান।” দিন কয়েক আগে এই আলম জানিয়েছিলেন, আগামী নির্বাচনে দেশের সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগকে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার ও গণহত্যার বিচারের পরেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

৫ অগস্টের পরে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে নতুন সরকারের সমর্থক বাহিনী আওয়ামী লীগের বহু নেতাকে মারধর এমনকি খুনও করেছে। সাবেক শাসক দলের নেতা-কর্মীদের আক্রমণ করা হয়েছে, পিটিয়ে মারা হচ্ছে জনরোষের অজুহাত দেখিয়ে। দোষীদের বিচারের বদলে এই কাজকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন ইউনূস সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থককে হেনস্থার জন্য ভিত্তিহীন মামলায় আসামি করা হয়েছে। দলের বহু নেতা-কর্মী প্রাণ বাঁচাতে ঘর ও দেশছাড়া। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপরে চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনটি থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত পর পর কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন আওয়ামী নেতৃত্ব। ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রচারপত্র বিলি। ৬ তারিখে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ। ১০ তারিখে বিক্ষোভ মিছিল। ১৬ তারিখ অবরোধ কর্মসূচির পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশ জুড়ে সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এই কর্মসূচি ঘোষণার পরেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে সাড়া পড়ে। কারণ, অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থক কোটা-বিরোধী আন্দোলনের ছাত্রদের ভাবমূর্তি ছ’মাসেই তলানিতে। জামায়াতে ইসলামীর সহযোগিতা নিয়ে তারা এখন নতুন একটি রাজনৈতিক দল তৈরির চেষ্টা করছে। জামায়াত অন্য ইসলামি দলগুলিকে একত্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিপক্ষ একটি ইসলামি জোট তৈরি করছে। এ জন্য সংস্কারের যুক্তি তুলে অন্তর্বতী সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে তারা। সরকার সমর্থক প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি আবার অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে ভোটের ঘোষণার দাবিতে সরব হয়েছে। এ জন্য তাঁরা মাঠে নেমে আন্দোলনে নামবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে।

তবে বুধবার ইউনূসের সচিব জানিয়ে দেন, আওয়ামী লীগ যত দিন না ক্ষমা চাইছে, তাদের নেতৃত্বের যত ক্ষণ না বিচার হচ্ছে, সরকার তাদের কোনও কর্মসূচি করতে দেবে না।

অন্য বিষয়গুলি:

Muhammad Yunus dhaka
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy