মুজিবর রহমান। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের নোট থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে শেখ মুজিবর রহমানের ছবি! সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ও পার বাংলায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক নতুন নোট ছাপানো শুরু করে দিয়েছে। তাতে জায়গা পেয়েছে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন)-এর ছবি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয় সে দেশে। তখনও অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়নি। সবে দেশ ছেড়েছেন হাসিনা। সেই উত্তাল পরিস্থিতিতে ভেঙে ফেলা হয় শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি। হাতুড়ি দিয়ে একের পর এক ঘা বসানো হয় মুজিবরের মূর্তিতে। পরে বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকেও সরিয়ে ফেলা হয় তাঁর ছবি। এ বার বাংলাদেশের নোট থেকেও মুজিবরের মুখ সরিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক ২০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট ছাপানোর কাজ শুরু করেছে। সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশেই এই নোট ছাপানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম ‘ঢাকা ট্রিবিউন’কে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন নোটগুলিতে ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবরের ছবি থাকবে না। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা হুসনেরা শিখা জানান, আগামী ছ’মাসের মধ্যেই নতুন নোটগুলি বাজারে চলে আসবে। সে দেশের অর্থ মন্ত্রকের একাধিক সূত্রও জানিয়েছে, নতুন নোটগুলিতে মুজিবরের ছবি থাকবে না। বাংলাদেশির সংবাদমাধ্যম অনুসারে, আপাতত ২০,১০০,৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোটে এই পরিবর্তন করা হচ্ছে। বাকি নোটগুলিতেও ধাপে ধাপে বদল আনা হবে।
জুন-জুলাই মাস ধরে বাংলাদেশে হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দুই আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে হাসিনার সরকারের পতন হয়। গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। চলে আসেন ভারতে। আপাতত ভারতেই সাময়িক আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে বর্তমানে শাসন করছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। তদারকি সরকার দায়িত্বে আসার পর ঢাকার বঙ্গভবন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে মুজিবরের ছবি। এ ছাড়া আরও একাধিক সরকারি দফতর থেকে মুজিবরের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের তালিকা থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে মুজিবরের জন্ম এবং মৃত্যুবার্ষিকী।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। এখনও জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং চিন্ময়কৃষ্ণের আইনি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বলেছে ভারত। অন্য দিকে বাংলাদেশের তদারকি সরকারের বক্তব্য, সংখ্যালঘুরা সে দেশে নিরাপদেই রয়েছেন। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ পছন্দ করছে না বাংলাদেশের প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy