কলাগাছের ভেলায় চড়ে ডাঙার খোঁজে। বাংলাদেশের জামালপুরে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
কয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে নেমে আসা জলে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার কবলে পড়েছে। গত পাঁচ দিন ধরেই একের পর এক এলাকা ভাসছিল। রবিবার থেকে জলের ঢল বাড়ায় অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে ধস ও বানের জলে ৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ত্রাণ ও উদ্ধারের সঙ্গে যুক্ত সব সরকারি কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বহু উপজেলা বাকি দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সরকারের পক্ষে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম, এমন অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যেই ধরলা, তিস্তা, দুধকুমোর, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র-সহ ১৬টি নদ-নদীর জল যে ভাবে বাড়ছে, পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি সব চেয়ে ঘোরাল হয়ে উঠেছে। আকস্মিক বন্যায় বাঁধ, সেতু, ও রাস্তার বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তার মধ্যেই শুরু হয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। নৌকা ও ভেলায় চড়ে বহু পরিবার ডাঙার সন্ধানে বেরিয়েছে।
উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমের লালমণিরহাট, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, রংপুর, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চকোরিয়া, ফেনি, রাঙামাটি এবং বান্দারবনে বন্যা মাত্রাছাড়া আকার নিয়েছে। গাইবান্ধায় নদীর পাড় ধসে তলিয়ে গিয়েছে প্রায় ৭০০ বাড়িঘর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy