নিহত আবু সাঈদ। — ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ‘শহিদ’ আবু সাঈদের খুনের মামলায় ‘পলাতক’ ১৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সক্রিয় হল রংপুর আদালত। বৃহস্পতিবার তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিচারক। মামলার সরকারি আইনজীবী রোকনুজ্জামান, শামীম আল-মামুন ও রায়হান কবির এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে আন্দোলনে নেমেছিলেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র সাঈদ। গত ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের রাবার বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। ছোট্ট বাঁশের লাঠি নিয়ে দু’হাত প্রসারিত করে পুলিশের উদ্যত বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশের বন্দুক থেকে ছুটে আসা পর পর রবার বুলেটের আঘাতে লুটিয়ে পড়েছিলেন মাটিতে।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই মিনিটখানেকের ভিডিয়ো ক্লিপ তরান্বিত করেছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতন। পালাবদলের পরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস স্বয়ং সাঈদের রংপুরের বাড়িতে গিয়ে ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, গত ১৮ জুলাই সাঈদের বড় ভাই রমজান আলি ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আদালতে। এঁদের মধ্যে রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এসএসআই) আমির আলি এবং কনস্টেবল সুজনচন্দ্র রায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। আর এক অভিযুক্ত বাংলাদেশ পুলিশের তৎকালীন আইজি আবদুল্লাহ আল মামুন অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। বাকি ১৪ জন অভিযুক্ত এখনও ‘পলাতক’। তাঁদেরই বিদেশযাত্রায় নিযেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy