—প্রতীকী চিত্র।
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর ঘটনা কমাতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টিকে উত্থাপন করেছেন। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ঢাকার এই প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার মোদী-হাসিনা বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সীমান্তে হত্যার ঘটনাগুলিকে ‘সুসম্পর্কের কলঙ্ক’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তবে বিএসএফের দাবি, গুলিতে নিহতরা সকলেই চোরাচালানকারী। টহলদার জওয়ানদের সামনে পড়লে গুলি বা বোমা ছোড়ে। প্রাণ বাঁচাতে জওয়ানদেরও গুলি চালাতে হয়।
সাংবাদিক বৈঠকে মোমেনও বলেন, “আমাদের কিছু দুষ্ট ব্যবসায়ী বর্ডারের ভিতরে, অনেক ভিতরে বেআইনি ভাবে ঢুকে যায়। তারা বন্দুক নিয়ে যায়, এবং গোলাগুলিও করে। এমনকি বোমাও নিয়ে যায়। কাজেই ওটা একতরফা দোষ নয়। তখন ওরা (বিএসএফ) গুলি চালাতে বাধ্য হয়। চোরাচালান বন্ধ করা গেলে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডও বন্ধ হবে।”
ভারত সরকার কঠোর মনোভাব নেওয়ায় সম্প্রতি বাংলাদেশে গরু চোরাচালান প্রায় বন্ধ হলেও সোনা, মাদক, অস্ত্র ও নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর চোরাচালান প্রায় অবাধেই চলে। মোমেন জানান, চোরাচালান বন্ধের উদ্দেশ্যে সীমান্ত হাটের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। মোদীও জানিয়েছেন, বিএসএফের হাতে প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র দেওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “সীমান্ত হাট খুব ভাল প্রস্তাব। দুই পক্ষ কথা বলে হাটের জন্য সীমান্তে বেশ কয়েকটি জায়গা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে। করোনা ছড়িয়ে না-পড়লে তার কয়েকটা হয়তো এ বছরেই চালু হয়ে যেত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy