ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি। —ফাইল চিত্র।
বেরুটের বাঙ্কারে ইজ়়রায়েলি বাঙ্কার বাস্টার বোমায় হিজ়বুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা নিহত হওয়ার পরেই প্রশ্নটা উঠে গিয়েছিল। বুধবার তার উত্তর দিয়ে দিল ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। জানিয়ে দিল, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেইনি তেল আভিভের পরবর্তী নিশানা।
ইজ়রায়েল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি বিবৃতি বুধবার সে দেশের সরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। তাতে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে এ বার নিশানা করা হবে আয়াতোল্লাকে। মঙ্গলবার রাতে রাজধানী তেল আভিভ-সহ ইজ়রায়েলের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান ফৌজ। এই হামলায় মাঝারি পাল্লার হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র ফাতা-২ ব্যবহার করা হয় বলে পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই সরাসরি প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠনটির পক্ষ নিয়েছে ইরান। অন্য দিকে, লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজ়বুল্লা কার্যত ইরানেরই নিয়ন্ত্রণাধীন। ঘটনাচক্রে, প্যালেস্টাইনি ভূখণ্ড গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পরে গত বছরের নভেম্বরে ইরান সেনার বিশেষ বাহিনী ‘রেভোলিউশনারি গার্ডস অ্যারোস্পেস ফোর্স’-এর হাতে ফাতা-২ ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন আয়াতোল্লা স্বয়ং। যদিও ১,৪০০ কিলোমিটার পাল্লার ওই ক্ষেপণাস্ত্র ‘আয়রন ডোম’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় তেমন আঁচড় কাটতে পারেনি বলে দাবি ইজ়রায়েল সেনার।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বেরুটের দক্ষিণে দাহিয়া এলাকায় হিজ়বুল্লার সদর দফতরে ইজ়রায়েলি বিমানহানায় নিহত হয়েছিলেন সংগঠনের প্রধান হাসান নাসরাল্লা। তার পরেই নিরাপত্তার কারণে আয়াতোল্লাকে ‘গোপন এবং নিরাপদ’ আস্তানায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি। যদিও লেবাননের মতোই ইরানেও ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ যথেষ্ট সক্রিয়। গত জুলাই মাসে ইরানের রাজধানী তেহরানে সরকারি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা আবাসনে খুন করা হয়েছিল হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে। মোসাদের ঘাতক বাহিনীই ওই হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy