উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি ফাইল চিত্র
সন্দেহের শীর্ষে চিনের ‘উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’। বিজ্ঞানীদের একটি বড় অংশের অনুমান, এই প্রতিষ্ঠান থেকেই ছড়িয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। কিন্তু উহান ইনস্টিটিউটের একমাত্র বিদেশি বিজ্ঞানী এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করলেও কোনও গোলমাল টের পাননি তিনি!
অস্ট্রেলীয় ভাইরোলজিস্ট ড্যানিয়েল অ্যান্ডারসন ওই উহান ইনস্টিটিউটে গবেষণা করেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরেও। প্রতিষ্ঠানের অতি-বিতর্কিত বিএসএল-৪ ল্যাবে তাঁর যাতায়াত ছিল। এখানে পৃথিবীর বেশ কিছু মারণ ভাইরাস নিয়ে কাজ হয়। বিতর্কিত কিছু চোখে পড়েনি তাঁর।
ল্যাবের একমাত্র বিদেশিনি গবেষক জানিয়েছেন, যথেষ্ট সুরক্ষাবিধি পালন করা হয়। মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা বর্মবস্ত্র পরে তবেই ঢোকা যায় ল্যাবে। বিশ্বের একাংশের সন্দেহ, ওই ল্যাবের কোনও কর্মী হয়তো সার্স-কোভ-২-এ সংক্রমিত হয়েছিলেন। এবং তাঁর থেকে ছড়িয়েছিল ভাইরাস। ২০১৯ সালের নভেম্বরে উহান ইনস্টিটিউটের তিন বিজ্ঞানীর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। তার পর ওই ধারণা আরও জোরদার হয়। কিন্তু অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, কোনও কর্মীর সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। তা ছাড়া, তিনি এ জাতীয় কোনও খবর পাননি। নিজেও সংক্রমিত হননি কখনও।
উহান ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর শি ঝেংলি অ্যান্ডারসনের দীর্ঘদিনের বন্ধু-সহকর্মী। অ্যান্ডারসন এখন মেলবোর্নে একটি গবেষণাগারে কাজ করছেন অ্যান্ডারসন। উহান ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গবেষণা করছেন ২০১৬ থেকে। সিঙ্গাপুরের একটি বায়োসেফটি ল্যাবে ডিরেক্টর ছিলেন। একটি আমেরিকান সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘‘অন্য হাই-কন্টেনমেন্ট গবেষণাগারে যে ভাবে কাজ হয়, ওখানেও তাই হয়! আলাদা কিছু নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy