স্কট মরিসন
ধর্ষণ থেকে শুরু করে মহিলাদের অসম্মান, একের পর এক অভিযোগে জর্জরিত ছিল স্কট মরিসনের মন্ত্রিসভা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চাপ বাড়ছিল অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর উপরে। শেষমেশ নিজের মন্ত্রিসভার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে দুই মন্ত্রীর ক্ষমতা কমালেন মরিসন। পদাবনতি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিন্ডা রেনল্ডস এবং আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান পোর্টারের।
লিন্ডার বিরুদ্ধে তাঁরই দফতরে হওয়া একটি ধর্ষণের মামলার তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ ছিল। অভিযুক্ত ছিল তাঁর মন্ত্রকের এক কর্মী। কিন্তু অভিযোগকারিণী মহিলাকে লিন্ডা ‘মিথ্যাবাদী গরু’ বলেছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। পোর্টার অস্ট্রেলীয় সরকারের আইনি উপদেষ্টা ও অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ সামলেছেন। সেই পোর্টারের বিরুদ্ধেই প্রায় তিন দশক আগে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। যা তিনি বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন। অভিযোগকারিণী ১৯৮৮ সালে পোর্টারের সঙ্গেই পড়াশোনা করতেন। সম্প্রতি সেই মহিলা আত্মহত্যা করেন। যার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন দেশের মহিলারা। বিভিন্ন শহরে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিলের আয়োজন করছিলেন তাঁরা। লিন্ডা এবং পোর্টারকে সরানোর দাবি উঠেছিল তখন থেকেই। তাঁদের ছুটিতে পাঠালেও গত সপ্তাহ পর্যন্ত এই দু’জনকেই নিজ নিজ দায়িত্বে ফেরানোর পক্ষে ছিলেন মরিসন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দু’জনেরই ক্ষমতা কমিয়ে তাঁদের কম গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব দিয়েছেন মরিসন।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, লিন্ডা ও পোর্টারের ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ না করায় কমছে মরিসনের জনপ্রিয়তা। আরও এক বছর মেয়াদ রয়েছে তাঁর। ইঙ্গিত বুঝেই এই দু’জনকে ক্ষমতা থেকে সরান মরিসন। একই সঙ্গে নিজের মন্ত্রিসভায় আরও বেশি মহিলা প্রতিনিধিদের সুযোগ দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লিন্ডার জায়গায় অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে আসছেন বিতর্কিত পিটার ডাটন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy