অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেজ়। ছবি: পিটিআই।
সদ্যসমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘বস’ হিসেবে উল্লেখ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উষ্ণতা দেখিয়েছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ়। কিন্তু সেই সময়েই ভারতের ছ’টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পড়ুয়াদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। অভিযোগ, সেখান থেকে আসা পড়ুয়াদের ভিসার আবেদনে অধিকাংশ সময়ে জালিয়াতি ধরা পড়ছে। আজ এক আলাপচারিতায় বিষয়টিকে ‘দ্বিপাক্ষিক সমস্যা নয়’ বলেই জানিয়েছেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত ব্যারি ও’ফারেল। তাঁর বক্তব্য, বিষয়টি ‘অসাধু বেসরকারি ভিসা এজেন্টদের’ কাজ। এই প্রসঙ্গে ছাত্রদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে ব্যারি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘমেয়াদি নয়।
ভিক্টোরিয়ার ফেডারেশন ইউনিভার্সিটি ও নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি-র অভিযোগ, অনেক পড়ুয়া জাল ভিসা নিয়ে আবেদন করছেন। এই চক্র কোথা থেকে, কোন পদ্ধতিতে কাজ করছে— তার একটি নির্দিষ্ট নকশা নজরে এসেছে। তাই গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড ও কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের পড়ুয়াদের ভিসায় আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে সাউথ ব্লক। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিশেষ কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। দু’দেশের মধ্যে রয়েছে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিও। এই সময়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভাল বলে দাবি করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতাই। তাই বিষয়টির সমাধান যে দ্রুতই হবে সেই ইঙ্গিত দিয়ে ব্যারি বলেন, “কিছু দালাল ছাত্রদের অসুবিধায় ফেলছে। তারা নিয়ম কানুন মেনে কাজ করছে না। এটা ছাত্রদের কাছেও নড়েচড়ে বসার সতর্কবার্তা। এই সব দালালদের উপর নির্ভর না করে, তাদের নিজেদের সব মিলিয়ে দেখে নেওয়া উচিত। তা হলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।” তবে নিষেধাজ্ঞা কবে উঠবে— তা স্পষ্ট করেননি রাষ্ট্রদূত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy