সিটিবিএ-র পুজো ৩২ বছরে পা দিল। নিজস্ব চিত্র
আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তের প্রদেশ টেক্সাস। মেক্সিকোর সীমান্তঘেঁষা এই প্রদেশের রাজধানী অস্টিনে অনেক বাঙালির বাস। কয়েক জন বাঙালি প্রবাসে থাকা মানেই প্রাণপণ চেষ্টায় দুর্গাপুজোর আয়োজন করা। অস্টিনের বাঙালিরাও এর ব্যতিক্রম নন।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অস্টিনের বাঙালিরা দুর্গাপুজোর আয়োজন করছেন। উদ্যোক্তা, ‘সেন্ট্রাল টেক্সাস বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন’ বা সিটিবিএ। সিটিবিএ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি পুজো হয় এই শহরে, যেমন ‘বন্ধন’ ও ‘গ্রেটার অস্টিন বঙ্গবাসী’র পুজো।
এ বার আমাদের সিটিবিএ-র পুজো ৩২ বছরে পা দিল। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে, অর্থাৎ ৮-৯ তারিখ, একটি স্কুলে এ বার পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ৮০০ বাঙালি আমাদের এই পুজোয় অংশ নেন। এত বড় পুজোর জন্য দরকার পরিকল্পনা এবং তার প্রয়োগ। কর্মকর্তা ও সদস্যদের কর্মদক্ষতায় এই কাজ সম্ভব হয়। ৩০ বছর ধরে আমাদের পুজো করছেন একই পুরোহিতমশাই। তিনি আমেরিকারই বাসিন্দা। এ বছরও তিনি পৌরহিত্যের দায়িত্ব পালন করবেন। ২০১৭ সালে কলকাতা থেকে প্রতিমা আনা হয়েছিল। এ বার সেই প্রতিমাই পূজিত হবেন।
প্রতি বছর অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবকের সহায়তায় নিখুঁত ব্যবস্থাপনায় পুজোর কাজ সুচারু ভাবে সম্পন্ন হয়। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া কিছুতেই এই বিশাল কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হতে পারে না। জানি, এ বারও তার ব্যতিক্রম হবে না। মণ্ডপে আগমনী ও ভক্তিমূলক গান গোটা পরিবেশকে সুমধুর করে তোলে। স্কুলের অডিটোরিয়ামে নাচ-গান-নাটক সমৃদ্ধ জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ৭০ জন অংশ নেবেন এই অনুষ্ঠানে। তা ছাড়া, দেশ থেকেও কয়েক জন শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বাঙালির পুজোর একটা বিশেষ অঙ্গ হল খাওয়াদাওয়া। আমাদের সংগঠনেরই কয়েক জন সদস্যের পরিকল্পনা ও পরিশ্রমে দু’দিন ধরে পেটপুরে ভুরিভোজও চলবে। প্রতি বছরের মতো এ বারও প্রকাশিত হবে সিটিবিএ-র পূজাবার্ষিকী সঙ্কলন। সদস্য ও তাঁদের ছেলেমেয়েদের লেখা গল্প-কবিতা ও আঁকা ছবিতে সমৃদ্ধ এই পত্রিকা আমাদের পুজোয় বিশেষ মাত্রা এনে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy