জেনারেল সোলেমানির মৃত্যুদিবসের জমায়েত। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
দু’বছর আগে এই দিনটিতে আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র হানায় নিহত হয়েছিলেন তিনি। ইরান সেনার সেই জনপ্রিয় জেনারেল কাসেম সোলেমানির মৃত্যুদিবসে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর কবরে ছিল মানুষের ঢল। আর বুধবার বিকেলে সেখানেই ঘটল ভয়াবহ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ!
ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরে কেরমান শহরে সাহিব আল-জামান মসজিদের অদূরে সোলেমানির কবরের সামনে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত ইরান সরকারি টিভি চ্যানেল ‘ইসনা’ ১০৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ১৭০। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা ‘অতি আশঙ্কাজনক’। ফলে নিহতের তালিকা দীর্ঘতর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি ভাবে এই বিস্ফোরণকে ‘জঙ্গিহানা’ বলেছে ইরান।
এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। গাজ়ায় যুদ্ধের আবহে ইজ়রায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ এই নাশকতা চালাতে পারে বলে তেহরানের একটি সূত্রের দাবি। উঠে আসছে আমেরিকার মদতের সম্ভবনার কথাও। কারণ সাম্প্রতিক যুদ্ধে গাজ়ার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লা এবং ইয়েমেনের হুথি বাহিনীকে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ইরান মদত দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর সিরিয়ায় বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন ইরানের আর এক শীর্ষস্থানীয় সেনা কমান্ডার সঈদ রাজ়ি মৌসাভি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের অদূরে আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছিলেন সোলেমানি। ইরানের ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর’-এর ওই কমান্ডার সেখানে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মদত দিতে গিয়েছিলেন। আত্মরক্ষার জন্যই ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে মারতে হয়েছে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জকে জানিয়েছিলেন আমেরিকার তৎকালীন প্রতিনিধি কেলি ক্রাফ্ট। তাঁর দাবি ছিল, পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন আমেরিকা সেনার উপর ধারাবাহিক ভাবে হামলায় মদত দিচ্ছিলেন সোলেমানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy