এস জয়শঙ্কর। ছবি: এপি।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের বিষয়টি পুরোপুরি ভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর সঙ্গে চিন কিংবা পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই। বেজিংয়ে পৌঁছে চিনা নেতৃত্বকে স্পষ্ট ভাবে এ কথা জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
তিন দিনের সফরে রবিবার বেজিং পৌঁছেছেন জয়শঙ্কর। আজ চিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং চিশান এবং বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চিনা বিদেশমন্ত্রী কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রসঙ্গ তোলেন। জয়শঙ্কর জানিয়ে দেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাশ্মীর নিয়ে সংবিধানের অস্থায়ী একটি বিষয় বদল করেছে ভারত, যা পুরোপুরি ভাবে নয়াদিল্লির অধিকারের মধ্যে রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার বিষয়টি সেই এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও উন্নত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যই করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত কিংবা চিন ও ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। এ নিয়ে চিনের উদ্বেগ দেখানোরও প্রয়োজন নেই। লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পরে বেজিং বিবৃতি দিয়ে বলেছিল, বিষয়টি তাদের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত ফেলছে। আজ তারই জবাব দিয়েছেন জয়শঙ্কর।
ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সফরের আগেই পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বেজিং পৌঁছে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে চিনকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। আজ চিনের বিদেশমন্ত্রী ভারত-পাক সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রসঙ্গ তোলেন। জয়শঙ্কর তাঁকে বলেন, কাশ্মীরে যে প্রশাসনিক পরিবর্তন হয়েছে, তা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই। ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) উপরেও এর কোনও প্রভাব নেই। বেজিংয়ের উদ্দেশে নয়াদিল্লির পরামর্শ, তারা যেন ভারত-পাক সম্পর্কের ব্যাপারে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। পাকিস্তানের প্ররোচনামূলক বিবৃতি ও কাজকর্মের পরেও ভারত দায়িত্বশীল শক্তির মতো ব্যবহার করছে বলে চিনা নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন জয়শঙ্কর। পরে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে বেজিংয়ের বৈঠকে নয়াদিল্লির অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে।
জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পরে ওয়াং ই বলেন, ‘‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পরিস্থিতি এবং তার প্রভাবের দিকে আমরা কড়া নজর রাখছি। আশা করি, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থায়িত্বের প্রশ্নে নয়াদিল্লি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।’’ আর জয়শঙ্করের মন্তব্য, ‘‘দু’বছর আগে আস্থানায় ভারত ও চিন ঠিক করেছিল, কোনও
বিষয়ে যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থেকে থাকে, তা যেন বিবাদে পরিণত না হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy