অ্যাপল সিইও টিম কুক। ফাইল চিত্র।
অ্যাপল সিইও টিম কুক নিজের প্রাপ্ত বেতনের ৪০ শতাংশ কাটছাঁট করার প্রস্তাব রাখলেন। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন কুক? বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুক নাকি মনে করছেন তাঁর বেতন ‘অত্যন্ত বেশি’। আর তাই কাটছাঁট করা প্রয়োজন। কোনও সংস্থার সিইও নিজের বেতনের ৪০ শতাংশ ছেঁটে ফেলতে চাইছেন, এমন ঘটনা খুবই বিরল। তালিকাও খুব সংক্ষিপ্ত। আর সেই তালিকায় নতুন সংযোজন কুক।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে ৪০ শতাংশ কাটছাঁট করে তাঁর বেতন ৪ কোটি ৯০ লক্ষ ডলার করার জন্য সংস্থার কাছে প্রস্তাব রেখেছেন কুক নিজেই। তার মধ্যে বেসিক বেতন ৩০ লক্ষ ডলার, ৬০ লক্ষ ডলার বোনাস এবং শেয়ার মূল্য ৪ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার আইফোন সংস্থা অ্যাপল একটি রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে জানিয়েছে, অ্যাপলের পারফরম্যান্সের সঙ্গে জড়িত যে সব স্টক ইউনিট রয়েছে, তা এ বছরে ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশ হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, শেয়ারহোল্ডারদের মতামত, সংস্থার পারফরম্যান্স এবং কুক নিজে যে পরিমাণ বেতন কাটছাঁটের অনুরোধ করেছেন, সব কিছু একত্রিত করে তবেই কুকের নতুন বেতন স্থির করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালে কুকের বেতন ছিল ৯ কোটি ৯৪ লক্ষ ডলার। সেই সময় টিমের বিপুল বেতন নিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছিল। শেয়ারহোল্ডার অ্যাডভাইসরি গ্রুপ ইনস্টিটিউশনাল শেয়ারহোল্ডার সার্ভিসেস (আইএসএস), কুকের বেতন নিয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছিল। অভিযোগ তোলা হয়েছিল, কুক যে বেতন পান তার অর্ধেকটাই তাঁর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নয়। ওই সংস্থার বার্ষিক বৈঠকে কুকের বেতনের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ শেয়ারহোল্ডার কুকের পক্ষেই ভোট দিয়েছিলেন। ২০২১ সাল থেকে তাই কুকের বেতনের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy