পার্লামেন্টে কোনও আলোচনা ছাড়াই নতুন সন্ত্রাসদমন অভিযান নীতি ঘোষণা করল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, খাইবার-পাখতুনখোয়া, বালুচিস্তানের মতো প্রদেশে সেনা নামিয়ে দমন-পীড়নের উদ্দেশ্যেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে।
সমালোচনার মুখে পড়ে পাক সরকার মঙ্গলবার জানিয়েছে, দেশের কোনও প্রান্তে বড় ধরনের কোনও সেনা অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নেই তাদের। প্রসঙ্গত, গত শনিবার পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফের সভাপতিত্বে ‘ন্যাশনাল অ্যাপেক্স প্ল্যান’ সংক্রান্ত শীর্ষ কমিটির বৈঠকে নতুন সন্ত্রাসদমন পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়। সোমবার পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ‘অপারেশন আজম-ই-ইস্তেকাম’ নামের ওই সন্ত্রাসদমন অভিযানের কথা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:
প্রায় দেড় দশক আগে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাহ-ই-নিজ়াত’ অভিযান শুরু করেছিল পাক সেনা। সেনা-টিটিপি সংঘর্ষের জেরে পাক-আফগান সীমান্তে বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন। এ বারও তেমন আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-সহ বিরোধীদের একাংশ ইতিমধ্যেই পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-পাকিস্তান পিপল্স পার্টির জোট সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জমিয়ত উলেমা ইসলাম-ফজল এবং আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির মতো বিরোধী দলগুলিও শরিফ সরকারের নতুন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছে।