ডোনাল্ড ট্রাম্প।—ছবি রয়টার্স।
আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উপসাগরীয় এলাকায় সামরিক মিত্র জোট গড়তে চায় আমেরিকা। ইরান এবং ইরান-ঘেঁষা জঙ্গিদের হাত থেকে পারস্য উপসাগরের কৌশলগত এলাকা রক্ষা করতে এই জোটের ভাবনা— জানিয়েছেন পেন্টাগনের শীর্ষপদস্থ এক জেনারেল।
সম্প্রতি এই পরিকল্পনা করে আমেরিকা চাইছে নিজের নৌবাহিনীকেও কাজে লাগাতে। ইরান এবং ইয়েমেনের উপকূলবর্তী এলাকায় সামরিক জোট তৈরি করে নজরদারিতে নেতৃত্ব দেওয়াও লক্ষ্য ওয়াশিংটনের। তারা বলছে, মিত্ররা মার্কিন জাহাজের কাছাকাছি নজরদারি চালাবে, নিজ দেশের পতাকাবাহী বাণিজ্যতরীগুলিকে রক্ষা করবে। পেন্টাগনের জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড (জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান) এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব মার্ক এসপার এবং বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োর সঙ্গে কথা বলেছেন। ডানফোর্ড বলেছেন, ‘‘আমরা বেশ কিছু দেশের সঙ্গে মিলে কাজ করতে চাই। দেখতে চাই, জোট বেঁধে হরমুজ় এবং বাব আল-মান্দাব প্রণালীতে কতটা স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করা যায়।’’ এই সূত্রে ডানফোর্ডের বক্তব্য, ‘‘আগামী কয়েক সপ্তাহে আমরা সেই সব দেশকে খুঁজে বার করতে চাই যাদের এই উদ্যোগে শামিল হওয়ার মতো রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে।’’
হরমুজ় প্রণালী দিয়ে তাদের তেল রফতানি করতে দেওয়া না হলে সেটি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি অতীতে বহু বার দিয়েছে ইরান। এই প্রণালী দিয়ে বিশ্বের অন্তত এক পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, তেল রফতানিতে বাধা দিয়ে ইরানকে কোণঠাসা করতে। আর এই পথে পরমাণু চুক্তি নিয়ে তেহরানের উপরে চাপ বাড়াতে চায় ওয়াশিংটন। ২০১৫ সালের ওই চুক্তি বাঁচাতে এবং ইরান-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা কমাতে আজই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর কূটনৈতিক উপদেষ্টা তেহরানে গিয়েছেন উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনার জন্য।
তবে হরমুজ় প্রণালী ঘিরে নিরাপত্তা বাড়ানোর ভাবনা গত মে মাস থেকেই শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। উপসাগরীয় অঞ্চলে মে ও জুন মাসে মার্কিন তেলের ট্যাঙ্কারে হামলা হয়েছিল। আর গত মাসেই আবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মার্কিন ড্রোন নামিয়েছে ইরান। যার পরে প্রায় যুদ্ধ লাগার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে ১৫০ প্রাণহানি হবে শুনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানে অভিযানের পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন।
বাব আল মান্দাব প্রণালীতে (লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরকে যুক্ত এটি) ইরান ‘সমর্থিত’ হুথি জঙ্গিদের হামলা বরাবরই আমেরিকা, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে চিন্তায় ফেলেছে। বাব আল মান্দাব প্রণালী দিয়ে ৪০ লক্ষ ব্যারেল তেল প্রতিদিন ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ায় যায়। তেল ছাড়াও রফতানি হয় অন্য বাণিজ্যিক সামগ্রী।
ডানফোর্ড বলছেন, তাঁরা প্রণালীগুলি হাতে রাখতে সব রকম চেষ্টা চালাবেন। তবে মিত্র দেশের নৌসেনাকে মার্কিন জাহাজগুলির মাঝ বরাবর নজরদারি চালাতে হবে। তা হলেই মিত্র জোট লক্ষ্যে সফল হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy