— ফাইল চিত্র
প্রথমে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন, তার পরে গত কাল একসঙ্গে আইনসভার চার সদস্যকে বরখাস্ত করা। স্বশাসিত হংকংয়ের উপরে নিজেদের রাশ দৃঢ় করার পথে ইতিমধ্যেই আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে চিন। বিষয়টি নিয়ে এ বার কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল আমেরিকা। হংকংয়ের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার অভিযোগে আরও চার জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন স্পষ্ট জানিয়েছেন, হংকং আইনসভার গণতন্ত্রকামী সদস্যদের প্রতি চিনের এই আচরণ আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা লঙ্ঘন করেছে। এতে হংকংয়ের স্বশাসনের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত গত কাল। চিনের পার্লামেন্ট আচমকাই সিদ্ধান্ত নেয় যে হংকংয়ের স্থানীয় প্রশাসন চাইলে বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই আইনসভার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বরখাস্ত করতে পারবে। এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বেজিং-বিরোধী গণতন্ত্রকামী চার নেতাকে আইনসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়। এই চার জন হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনার প্রতিবাদে আইনসভার বাকি গণতন্ত্রকামী নেতারা আজ পদত্যাগ করেছেন। আমেরিকা ও ব্রিটেন গোটা ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে। ১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকেই ক্ষমতা হস্তান্তর হয়ে হংকংয়ের অধিকার চিনের কাছে গিয়েছিল। বেজিং তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, হংকংয়ের জন্য স্বশাসিত সরকার থাকবে। চিন সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ব্রিটিশ সরকার। বিদেশ সচিব ডমিনিক রাব গত কালই জানিয়েছেন, এ ভাবে নির্বাচিত জনপ্রিতিনিধিদের সরিয়ে চিন ১৯৯৭-এর যৌথ ঘোষণাপত্রের অবমাননা করেছে। একই সুর ট্রাম্প প্রশাসনেরও। যে চার জনের বিরুদ্ধে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাঁরা কেউই আমেরিকায় সফর করতে পারবেন না। সেখানে সম্পত্তি থাকলে, বাজেয়াপ্ত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy