Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Indo china clash

অরুণাচল ভারতের অংশ, চিনকে স্পষ্ট বার্তা আমেরিকার

অরুণাচল প্রদেশের কিছু এলাকা ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যে রয়েছে বহু দিনের পুরনো দ্বন্দ্ব। গত বছর ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও চিনা সেনা।

America clearly states China that Arunachal Pradesh is a  part of India

অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এই মর্মে আমেরিকান কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩৪
Share: Save:

অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এই মর্মে আজ আমেরিকান কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। চিনের সঙ্গে আমেরিকার বেড়ে চলা দ্বৈরথের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমেরিকার আকাশে চিনা বেলুন নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে দু’দেশের টানাপড়েন চলছে। এরই মধ্যে আমেরিকার সেনেটের এই প্রস্তাবে ভারতের সীমান্তে ‘চিনা উস্কানির’ কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। ওরেগনের ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর জেফ মার্কলে, টেক্সাসের রিপাবলিকান সেনেটর জন করনিন এবং টেনেসির রিপাবলিকান সেনেটর বিল হ্যাগার্টির আনা এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘আমেরিকা সব সময়ে স্বাধীনতার পক্ষে সায় দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমেরিকা প্রতিটি দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে মান্যতা দেয়। কিন্তু গণপ্রজাতন্ত্রী চিন ঠিক এর উল্টো পথে হাঁটে।’’ আমেরিকান সেনেটের চিন বিষয়ক কমিটির প্রধান সেনেটর মার্কলের কথায়, ‘‘অরুণাচল প্রদেশ যে গণপ্রজাতন্ত্রী চিন নয়, ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এ বিষয়ে আমেরিকার মনে কোনও দ্বিধা নেই। ওই এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে আমরা সমমনস্ক রাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করব।’’ প্রস্তাবে স্পষ্ট ভাষায় ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি বিঘ্নিত করতে চিনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘‘অরুণাচল প্রদেশে চিন ভারতকে উত্যক্ত করে।’’ চিনের উস্কানি রুখতে ভারতের নেওয়া পদক্ষেপ এবং এই এলাকায় ভারত যে ভাবে নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা করছে, তার প্রশংসাও করা হয়েছে সেনেটের এই প্রস্তাবে।

অরুণাচল প্রদেশের কিছু এলাকা ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যে রয়েছে বহু দিনের পুরনো দ্বন্দ্ব। গত বছর ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও চিনা সেনা। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকান সেনেটে বিষয়টি আলোচিত হওয়ায় স্পষ্ট, ভারতকে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক যুদ্ধে নামতে চাইছে ওয়াশিংটন।

আমেরিকান সেনেটে এই প্রস্তাবিত বিলের যথেষ্ট রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা। দেশের পূর্ব সীমান্তে অরুণাচল এবং পশ্চিম সীমান্তে লাদাখ-সহ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে চিনা সেনা। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক বার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ডোকলাম, প্যাংগং হ্রদ ও তাওয়াংয়ে। দিন দু’য়েক আগেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের আরও ন’হাজার আধাসেনা মোতায়েনে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। এই প্রেক্ষিতে আমেরিকান সেনেটের এই প্রস্তাব সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে টক্করে ভারতের অবস্থান দৃঢ় করবে বলেই মত কূটনীতিকদের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy