Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
International news

অ্যানাকোন্ডা থেকে পিরানহা, দাবানলের গ্রাসে বিপন্ন আমাজনের এই প্রাণীরা

পৃথিবীর ফুসফুস বলে মানা হয় যে আমাজন বৃষ্টি-অরণ্যকে, যার দুই-তৃতীয়াংশই ব্রাজিল সীমান্তের মধ্যে। সেই অংশটারই সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ১৫:২৫
Share: Save:
০১ ১০
তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার জ্বলছে ব্রাজিলের আমাজন বৃষ্টি-অরণ্য। এক সঙ্গে ন’হাজারেরও বেশি দাবানল। পৃথিবীর ফুসফুস বলে মানা হয় যে আমাজন বৃষ্টি-অরণ্যকে, যার দুই-তৃতীয়াংশই ব্রাজিল সীমান্তের মধ্যে। সেই অংশটারই সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার জ্বলছে ব্রাজিলের আমাজন বৃষ্টি-অরণ্য। এক সঙ্গে ন’হাজারেরও বেশি দাবানল। পৃথিবীর ফুসফুস বলে মানা হয় যে আমাজন বৃষ্টি-অরণ্যকে, যার দুই-তৃতীয়াংশই ব্রাজিল সীমান্তের মধ্যে। সেই অংশটারই সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

০২ ১০
আমাজন বৃষ্টি-অরণ্য জীববৈচিত্রে ভরপুর। এই লাগাতার দাবানলে প্রচুর প্রাণীরও প্রাণহানি ঘটছে। গ্যালারিতে রইল তেমনই কিছু প্রাণী যাদের জীবন বিপন্ন।

আমাজন বৃষ্টি-অরণ্য জীববৈচিত্রে ভরপুর। এই লাগাতার দাবানলে প্রচুর প্রাণীরও প্রাণহানি ঘটছে। গ্যালারিতে রইল তেমনই কিছু প্রাণী যাদের জীবন বিপন্ন।

০৩ ১০
বিছে: বিশালাকার এই হলুদ পায়ের বিছের দৈর্ঘ্যে এক ফুট। কোনওটা তারও কিছুটা বেশি। এই বিছের খাদ্য তালিকায় গিরগিটি, সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, বাদুর এমনকি পাখিও রয়েছে। শিকার ধরে প্রথমেই তার রক্তে মারাত্মক বিষ ঢুকিয়ে দেয় এরা।

বিছে: বিশালাকার এই হলুদ পায়ের বিছের দৈর্ঘ্যে এক ফুট। কোনওটা তারও কিছুটা বেশি। এই বিছের খাদ্য তালিকায় গিরগিটি, সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, বাদুর এমনকি পাখিও রয়েছে। শিকার ধরে প্রথমেই তার রক্তে মারাত্মক বিষ ঢুকিয়ে দেয় এরা।

০৪ ১০
মশা: আমাজনের জঙ্গলে আসা পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে ভয়ের কারণ মশা। পীত জ্বর, ম্যালেরিয়ার মতো প্রাণঘাতী জীবাণু এই মশা মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে দেয়।

মশা: আমাজনের জঙ্গলে আসা পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে ভয়ের কারণ মশা। পীত জ্বর, ম্যালেরিয়ার মতো প্রাণঘাতী জীবাণু এই মশা মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে দেয়।

০৫ ১০
ওয়্যান্ডারিং স্পাইডার: ব্রাজিলিয়ান এই মাকড়সা অ্যারাকনিড শ্রেণির সবচেয়ে বিষধর। এমনকি এই মাকড়সার গ্রিক ভাষায় বিজ্ঞানসম্মত নাম ফোনিউট্রিয়া-র অর্থই খুনি। আকারে ছোট এই মাকড়সাকে ওয়্যান্ডারিং স্পাইডার বলার কারণ গাছে গাছে জাল বোনার বদলে রাতে জঙ্গলের মাটিতে ঘুরে বেড়ায় শিকারের জন্য। ১৯৯৬ সালে এর বিষের অ্যান্টিডোট আবিষ্কার হয়।

ওয়্যান্ডারিং স্পাইডার: ব্রাজিলিয়ান এই মাকড়সা অ্যারাকনিড শ্রেণির সবচেয়ে বিষধর। এমনকি এই মাকড়সার গ্রিক ভাষায় বিজ্ঞানসম্মত নাম ফোনিউট্রিয়া-র অর্থই খুনি। আকারে ছোট এই মাকড়সাকে ওয়্যান্ডারিং স্পাইডার বলার কারণ গাছে গাছে জাল বোনার বদলে রাতে জঙ্গলের মাটিতে ঘুরে বেড়ায় শিকারের জন্য। ১৯৯৬ সালে এর বিষের অ্যান্টিডোট আবিষ্কার হয়।

০৬ ১০
ইলেক্ট্রিক ইল: শুধু জঙ্গলের মধ্যেই নয়, আমাজনের নদীও ভয়ঙ্কর সব জীবে ভর্তি। তাদের অন্যতম এই ইলেক্ট্রিক ইল। এই মাছ বিদ্যুৎ তৈরি করে। তার একটা ঝটকাতেই একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শ্বাসরোধ করে দিতে পারে। ইল মূলত শিকারের কাজেই লাগায় এই দক্ষতা।

ইলেক্ট্রিক ইল: শুধু জঙ্গলের মধ্যেই নয়, আমাজনের নদীও ভয়ঙ্কর সব জীবে ভর্তি। তাদের অন্যতম এই ইলেক্ট্রিক ইল। এই মাছ বিদ্যুৎ তৈরি করে। তার একটা ঝটকাতেই একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শ্বাসরোধ করে দিতে পারে। ইল মূলত শিকারের কাজেই লাগায় এই দক্ষতা।

০৭ ১০
বুলেট পিঁপড়ে: আমাজনের জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর সময় যদি আচমকা মনে হয় আপনার শরীরে দ্রুত গতির কোনও বুলেট বিঁধেছে, তা হলে নিশ্চিত থাকুন,সেটা বুলেট পিঁপড়ে। তার দংশন বুলেট বিঁধে যাওয়ার মতোই। ২৪ ঘণ্টা যন্ত্রণায় ছটফট করতে হবে।

বুলেট পিঁপড়ে: আমাজনের জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর সময় যদি আচমকা মনে হয় আপনার শরীরে দ্রুত গতির কোনও বুলেট বিঁধেছে, তা হলে নিশ্চিত থাকুন,সেটা বুলেট পিঁপড়ে। তার দংশন বুলেট বিঁধে যাওয়ার মতোই। ২৪ ঘণ্টা যন্ত্রণায় ছটফট করতে হবে।

০৮ ১০
পিরানহা: আমাজন নদীতে প্রচুর সংখ্যক পিরানহা মাছ রয়েছে। নরখাদক বলে পিরানহার বদনাম রয়েছে। এই মাছের দাঁত এত ধারালো এবং চোয়াল এতটাই শক্ত যে মানুষের অঙ্গ অনায়াসে কেটে নিতে সক্ষম এরা। তবে পিরানহা জ্যান্ত মানুষ খেয়েছে এমন কোনও তথ্য এখনও নেই।

পিরানহা: আমাজন নদীতে প্রচুর সংখ্যক পিরানহা মাছ রয়েছে। নরখাদক বলে পিরানহার বদনাম রয়েছে। এই মাছের দাঁত এত ধারালো এবং চোয়াল এতটাই শক্ত যে মানুষের অঙ্গ অনায়াসে কেটে নিতে সক্ষম এরা। তবে পিরানহা জ্যান্ত মানুষ খেয়েছে এমন কোনও তথ্য এখনও নেই।

০৯ ১০
বিষাক্ত ডার্ট ফগ: ছোট এবং হলুদ রঙের অত্যন্ত আকর্ষণীর এই ব্যাঙের দেখা আমাজনের জঙ্গলে মিলবে। বিশ্বের বিষাক্ততম প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম বলা চলে একে। বিপদ বুঝলেই এদের হলুদ চামড়া থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক নির্গত হয়। যা খুব কম মাত্রায় রক্তে মিশলে পক্ষাঘাত হতে পারে।

বিষাক্ত ডার্ট ফগ: ছোট এবং হলুদ রঙের অত্যন্ত আকর্ষণীর এই ব্যাঙের দেখা আমাজনের জঙ্গলে মিলবে। বিশ্বের বিষাক্ততম প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম বলা চলে একে। বিপদ বুঝলেই এদের হলুদ চামড়া থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক নির্গত হয়। যা খুব কম মাত্রায় রক্তে মিশলে পক্ষাঘাত হতে পারে।

১০ ১০
সবুজ অ্যানাকোন্ডা: নির্বীষ এই সাপটিও নরখাদক নামে পরিচিত। কোনও বিষ নেই এদের, তবে একবার শিকারকে ধরলে এর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া প্রায় অসম্ভব। শ্বাসরোধ করে শিকারকে মেরে ফেলার পর গিলে নেয় এরা।

সবুজ অ্যানাকোন্ডা: নির্বীষ এই সাপটিও নরখাদক নামে পরিচিত। কোনও বিষ নেই এদের, তবে একবার শিকারকে ধরলে এর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া প্রায় অসম্ভব। শ্বাসরোধ করে শিকারকে মেরে ফেলার পর গিলে নেয় এরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy