—ফাইল চিত্র।
সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে আরও কোণঠাসা করতে চাপ বাড়িয়েই চলছে ভারত। দিল্লিতে দু’দিনের এক আলোচনাসভায় আজ সন্ত্রাসে ইসলামাবাদের মদত নিয়ে সরব হন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রীতিমতো তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরে দেখান, কী ভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সরকারি ভাবে মদত দিচ্ছে সে দেশের সরকার। আর বিষয়টি তিনি তুলে ধরলেন এমন একটা সময়ে, যখন ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ বা এফএটিএফ তাদের দু’দিনের বৈঠকে সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর পাক পরিকাঠামো কাঁটাছেড়া করছে। সন্ত্রাসে অর্থ জোগানের উপর নজরদারি চালায় এই আন্তর্জাতিক সংস্থা। প্যারিসে তাদের ওই বৈঠকেই ঠিক হতে চলেছে ইমরান খানদের ভাগ্য। ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত হয়ে সাদা তালিকায় যাবে, নাকি জঙ্গি দমনে যথেষ্ট দমনমূলক ব্যবস্থা না-নেওয়ায় কালো তালিকায় ঠাঁই হবে ইসলামাবাদের— সেটাই দেখার।
পাকিস্তানকে জইশ-ই-মহম্মদ, জামাত-উদ-দাওয়া, লস্কর-ই-তইবা-র মতো জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে ও হাফিজ সইদ, মাসুদ আজাহারের মতো জঙ্গিদের গ্রেফতার করতে বলেছিল এফএটিএফ। গ্রেফতার দূরে থাক, গত মাসে মাসুদকে জেল থেকে ছেড়ে দেয় পাকিস্তান। তাদের এই মনোভাব এফএটিএফ ভাল ভাবে নেয়নি। গত সপ্তাহে প্রকাশিত তাদের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে ৪০টি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল। করা হয়েছে মাত্র ৯টি। যে কারণে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মত অনেকের। তা হলে আন্তর্জাতিক অর্থসাহায্য পাওয়ার প্রশ্নে নতুন করে ধাক্কা খাবে পাকিস্তান। সে দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই পরিস্থিতিতে কৌশলগত ভাবেই আজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হন ডোভাল। বলেন, ‘‘ভারত দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের সন্ত্রাস নীতি নিয়ে সরব। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের উপরে সব থেকে বেশি চাপ রয়েছে এফএটিএফ-এর। সন্ত্রাস দমনের প্রশ্নে অন্য কোনও ভাবে পাকিস্তানের উপরে এর চেয়ে বেশি চাপ দেওয়া সম্ভব হত না।’’ ডোভাল জানান, সন্ত্রাসে মদত দেওয়াকে পাকিস্তান কেবল রাষ্ট্রীয় নীতি বানিয়ে ক্ষান্ত থাকেনি, তারা জঙ্গিদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্যও পাচ্ছে জঙ্গিরা।’’
পাকিস্তানের এই ভূমিকাকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সামনে আরও বেশি করে তুলে ধরা ও তার জন্য আরও বেশি করে প্রমাণ জোগাড়ের উপরে জোর দেন ডোভাল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, জঙ্গি দমনের বিশেষ বাহিনীগুলির প্রধানদের উদ্দেশ্যে ডোভালের পরামর্শ, ‘‘কোনও প্রমাণ নষ্ট করবেন না। কোনও দেশকে নিশানা করা আমাদের নীতি নয়। তবে প্রমাণ ও যুক্তির ভিতে দাঁড়িয়ে আমরা পাকিস্তানের ভূমিকাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরব।’’ সেই সঙ্গে ডোভালের বক্তব্য, জঙ্গিদের লক্ষ্য আতঙ্ক ছড়ানো। তাই আতঙ্ক ছড়ানোর কাজটা সংবাদমাধ্যম না-করলেই ভাল।
এই প্রসঙ্গে ডোভাল মনে করিয়ে দেন, ‘‘ব্রিটেনের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার বলেছিলেন, জঙ্গিরা কিছু করলে, সংবাদমাধ্যমগুলি যদি তা নিয়ে নীরব থাকে, তা হলেই সন্ত্রাসবাদ শেষ হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy