—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইজ়রায়েলের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইরানের সমর্থনপুষ্ট লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লা। সংগঠনটির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, উত্তর ইজ়রায়েলের আইন জেইতিম সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়েছে।
পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলও। ইজ়রায়েলি সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, লেবাননের যে জায়গা থেকে রকেট হামলা চালানো হয়েছে, সেই জায়গা লক্ষ্য করে ‘প্রত্যাঘাত’ করা হয়েছে। তবে হামলা এবং পাল্টা হামলা— দু’টি ক্ষেত্রেই ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলিতে ইজ়রায়েলি অনুপ্রবেশের জবাব দিতেই সোমবার গভীর রাতে হামলা চালায় হিজ়বুল্লা। লেবাননের সরকারি সংবাদ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ইজ়রায়েলি সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রায় ৩৫টি রকেট ছোড়া হয়েছে।
ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পশ্চিম এশিয়ায়। তারই মধ্যে গত সপ্তাহে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লা আঘাত হানে ইজ়রায়েল ভূখণ্ডে। ওই হামলায় পাঁচ জন সেনা আহত হয়েছেন বলে তেল আভিভের সংবাদমাধ্যম জানায়।
এর জবাবে তার পরেই লেবাননে হিজ়বুল্লার কয়েকটি শিবিরে ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান বোমাবর্ষণ করে। সোমবার রাতে হিজ়বুল্লা তারই পাল্টা দিল বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এবং শক্তিশালী হিজ়বুল্লা বাহিনীতে রয়েছেন লক্ষাধিক যোদ্ধা। অতীতে বেশ কয়েক বার ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী লড়াই চালিয়েছে তারা। গত ৭ অক্টোবর গাজ়া থেকে হামাসের রকেট হামলার পরেই তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিল লেবাননের ওই শিয়া যোদ্ধাগোষ্ঠী। উপস্থিতি জানান দিতে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে তিনটি রকেট ছুড়ে ‘প্রতীকী হামলা’ চালানো হয়েছিল সে সময়। হিজ়বুল্লা কথার অর্থ ‘আল্লার দল’। ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের শিয়া মুসলিমদের এই দল বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় থেকেছে। ১৯৮০-র দশকে লেবাননের গৃহযুদ্ধের মধ্যেই হিজ়বুল্লা গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ১৯৯২ সাল থেকে এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন ধর্মগুরু এবং রাজনৈতিক নেতা হাসান নাসরাল্লাহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy