আটক ছাত্রনেতা নাহিদ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, কার্ফু জারি, সেনা তলবের পরে এ বার কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী মঞ্চ ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এবং তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু করল শেখ হাসিনার সরকার। শুক্রবার মধ্যরাতে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তথা শীর্ষ স্তরের নেতা নাহিদ ইসলামকে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক জন সমন্বয়ক শনিবার বিবিসিকে জানিয়েছেন, নাহিদকে শুক্রবার মধ্যরাতে আটক করা হয়। বাকি সমন্বয়কদের মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তিনি এখনও নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন বলে প্রকাশিত খবরে দাবি। পাশাপাশি, প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বেশ কয়েক জন নেতাকেও আটক এবং গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
এর পাশাপাশি, আন্দোলনকারীদের একাংশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ‘সমান্তরাল প্রচেষ্টা’ চালাচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘পদ্মা’য় আন্দোলনের দু’জন সমন্বয়কের সঙ্গে ‘শীর্ষ স্থানীয় সরকারি আধিকারিকদের’ একটি বৈঠক হয়েছে বলে বিবিসির খবরে দাবি। তবে সেই বৈঠকে নাহিদ হাজির ছিলেন না। হাসিনা সরকার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ‘নরমপন্থী’ অংশকে হিংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখার কৌশল নিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, হাসিনার সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, নীতিগত বিষয়ে আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সমর্থন রয়েছে সরকারের। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা খারিজ করে দিলেন আন্দোলনকারী ছাত্র-যুবরা। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর তরফে নাহিদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, ‘‘ছাত্র হত্যার বিচার না হলে আলোচনার পথ খোলা নেই। আন্দোলন চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy