তলিবানের দখলে আফগানিস্তানের সিংহভাগ চলে যাওয়ার পর থেকেই সে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সাক্ষী হয়েছে সারা বিশ্ব। যে কোনও প্রকারে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। কিছু দিন আগেই দেখা গিয়েছে, কাতারে কাতারে লোক কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় করেছেন। এর মধ্যে অনেকেই দেশ ছাড়তে পেরেছেন। অন্য দেশে উড়ে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করেছেন, কিন্তু বেশিরভাগের পক্ষেই তা সম্ভব হয়নি। সম্ভব হয়নি রোকিয়া-তাহিরাদেরও।
অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে একা থাকতে শুরু করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া রোকিয়া-তাহিরারা (নাম পরিবর্তিত)। দু’জনেই কাবুলের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকেন। এত দিন তাঁদের বিশ্বাস ছিল, একটু একটু করে উন্নয়ন হবে আফগানিস্তানের মানসিকতার। তাঁদের ন্যায্য অধিকার দেবে সমাজ। কিন্তু তালিবানের উত্থানের পর সমস্ত স্বপ্নই ভেঙে গিয়েছে তাঁদের। প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুভয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।