১৯৯৭ সালের হলিউডি ফিল্ম ‘টাইটানিক’-এর নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। ছবি: সংগৃহীত।
আগের তালিবানি শাসনে শুধুমাত্র মহিলাদের জীবনযাপনের উপরেই নয়, কোপ পড়েছিল আফগানিস্তানের বহু পুরুষের উপরেও। ‘ইসলামবিরোধী’ পশ্চিমী ধাঁচে চুল কাটার ‘অপরাধে’ গ্রেফতারি থেকে জেল— সব অত্যাচারই সহ্য করতে হয়েছিল দেশের বহু নাপিতকে। সেটা ছিল কুড়ি বছর আগেকার কথা। তবে আফগানিস্তানে ফের সেই অন্ধকার জগৎ ফিরে আসতে পারে। এমন আশঙ্কাই করছেন সে দেশের অনেক নাপিত। তালিবানি শাসনে রুজিরুটি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা।
হলিউডি নায়ক বা পশ্চিমী রকস্টারদের চুলের কায়দা অনুকরণ করতে গিয়ে কুড়ি বছর আগে তালিবানি শাসকদের কোপে পড়েছিলেন আফগানিস্তানের বহু যুবকই। ২০০১ সালে তাঁদের অনেকের মাথা মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই আফগান যুবকদের ‘অপরাধ’— ১৯৯৭ সালের হলিউডি ফিল্ম ‘টাইটানিক’-এর নায়কের চরিত্রে অভিনয় করা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও-র চুলের স্টাইলের অনুকরণ করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তাতেই তালিবানি রক্তচক্ষুর কোপে পড়েছিলেন আফগানিস্তানের বহু যুবক। রকব্যান্ড ‘বিট্লস’-এর সদস্যদের চুলের কায়দা করতে গিয়েও একই দশা হয়েছিল। ছাড় পাননি কাবুলের নাপিতরাও। তালিবান শাসকের তরফে চিঠি দিয়ে এ ধরনের ‘বিদেশি’ হেয়ারকাট বন্ধ করার জন্য নাপিতদের উপর কার্যত ফতোয়া জারি করেছিল। বছর কুড়ি পর তালিবান শাসনে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন আফগান নাপিতরা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে এক সাক্ষাৎকারে মহম্মদ আমিন নুরি নামে কাবুলের এক নাপিত সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আগের বার তালিবানি শাসনে আমাদের কাজকর্মকে ইসলামবিরোধী বলা হয়েছিল। এ বারও প্রায় কাজকর্ম নেই। ওরা (তালিবান) বলেছে যে, পুরুষদের মেকআপ বা ট্যাটু করা যাবে না। ফলে আমাদের খদ্দের কমে গিয়েছে। সকলেই যেন ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে। ভয়ে ভয়ে কাজকর্ম করছি। এ বার এখনও পর্যন্ত ওদের (তালিবানি) আইন চালু হয়নি বটে, তবে কত দিন কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারব, তা জানি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy