দেশে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন আফগান পাইলটরা। প্রতীকী ছবি
অগস্ট মাসে তালিবানি আগ্রাসনের মুখে আফগান বাহিনীর পিছু হঠার সময় আমেরিকার দ্বারা প্রশিক্ষিত ফাইটার পাইলটদের উপর নির্দেশ ছিল, বিমান নিয়ে উজবেকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার। কাবুলে তালিবান সরকার ঘোষণা হওয়ার পর জীবন-মরণ সমস্যায় পড়েছেন সেই পাইলটরা। কারণ, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাসখন্দ তালিবানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাইবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, উজবেকিস্তানে কমপক্ষে ৪৬৫ জন আফগান যুদ্ধ বিমানের পাইলট আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের সকলের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেই ব্যবস্থাপনাকে জেলখানার চেয়েও খারাপ বলছেন আমেরিকায় প্রশিক্ষিত আফগান পাইলটরা। বিমানের চাবি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। দু’বেলা পর্যাপ্ত খাবারের ও জলের অভাব। সবার উপরে আছে তালিবানের হাতে প্রত্যর্পণের আশঙ্কা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আফগান যুদ্ধ বিমানের পাইলট সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘‘পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, উজবেকিস্তান স্বভাবতই চাইবে প্রতিবেশী আফগানিস্তানের শাসক তালিবানের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখতে। আমাদের তালিবানের হাতে তুলে দিয়ে সেই ভাল সম্পর্কের আরম্ভ হবে কিনা বুঝতে পারছি না। তালিবান আমাদের কাউকে ছাড়বে না। সবাই মরব।’’
ক্ষমতা দখলের আগে থেকেই তালিবানের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন ইংরেজি ভাষায় স্বচ্ছন্দ এই আফগান পাইলটরা। তাঁদের যুদ্ধ বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছিল আমেরিকা। সূত্রের খবর, অগস্টের আগে এমন কয়েক জন পাইলটকে খুন করেছে তালিবান। এ কথা মাথায় রেখেই আফগান বাহিনীর পিছু হঠা শুরু হতেই পাইলটদের বিমান নিয়ে প্রতিবেশী কোনও দেশে উড়ে যাওয়ার নির্দেশ জারি করে আমেরিকা। এই মুহূর্তে উজবেকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন এ-২৯ সুপার টুকানো লাইট অ্যাটাক বিমান চালানোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৫ জন পাইলট, ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের ১১ জন পাইলট, এমডি-৫৩০ ও এমআই-১৭ হেলিকপ্টারের পাইলট-সহ বিমান কর্মীরা।
এই পরিস্থিতিতে তালিবান নেতৃত্ব আফগানিস্তানের নিজস্ব বায়ুসেনায় যোগ দেওয়ার জন্য এই সব যুদ্ধ বিমানের পাইলটদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন উজবেকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া পাইলটরা। তাঁরা মনে করছেন, ক’দিনের মধ্যেই বিমান নিয়ে ফিরতে হবে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে। তার পর কী হবে, ভাবতেও পারছেন না আফগানিস্তানের আমেরিকায় প্রশিক্ষিত যুদ্ধ বিমানের পাইলটরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy