কুয়েতের বহুতলে আগুন। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
কুয়েতের এক বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যু হল ৪০ জন ভারতীয়-সহ মোট ৪১ জনের। দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে আরও প্রায় ৫০ জনকে। বুধবার দক্ষিণ কুয়েতের মাঙ্গাফ শহরে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ভবনে ভারতীয় অনেক শ্রমিকের বাস। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, এক তলায় থাকা সিলিন্ডারে আগুন ধরে যাওয়ার কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে।
বুধবার অগ্নিকাণ্ডের কিছু ক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করেন উদ্ধারকারীরা। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মৃতদেহ উদ্ধারেরও চেষ্টা চলছে। এ প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মমতা তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, “কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি হতবাক এবং গভীরভাবে শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।”
অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, “কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমি প্রার্থনা করি এই দুর্ঘটনায় যাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। কুয়েতে ভারতীয় দূতাবাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে।”
যে ভারতীয়দের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। কুয়েতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে বাসভবনটিতে আগুন লেগেছে, সেখানে কেরলের অনেক মানুষ বাস করতেন। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে জয়শঙ্কর লিখেছেন, ‘‘কুয়েতের ঘটনাতে শোকাহত। ঘটনায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি। আমাদের রাষ্ট্রদূত ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন।’’
কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁদের। অগ্নিকাণ্ডে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য মেডিক্যাল দলগুলি চেষ্টা করছে বলেও কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy