মিস্টার অ্যান্ড মিসেস কমলা হ্যারিস
স্ত্রী জিতলে তিনিই হবেন দেশের প্রথম ‘সেকেন্ড হাজব্যান্ড’। আসলে স্ত্রীর সঙ্গে তিনিও যে ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। তাই নিজের নাওয়া-খাওয়া প্রায় ভুলে এখন স্ত্রীর হয়ে প্রচারের কাজে ব্যস্ত তিনি। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় ছাপান্ন বছরের সেই ‘ডগ’কে নিয়ে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমেরও উৎসাহের শেষ নেই।
ডগলাস এমহফ। পেশায় আইনজীবী। তবে তার চেয়েও জনপ্রিয় একটা পরিচয় তাঁর আছে। ডেমোক্র্যাট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা ডি হ্যারিসের স্বামী ‘ডগ’কে বিগত কয়েক মাসে চিনে গিয়েছে প্রায় গোটা আমেরিকা। স্ত্রীর সঙ্গে অসংখ্য প্রচার সভা, অনলাইন ফান্ড রেজ়িং অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি। কমলার জন্য আপাতত নিজের পেশায় দাঁড়ি টেনেছেন ডগলাস। স্ত্রী দেশের প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আইনের জগতে তিনি আর আদৌ ফিরবেন কি না, সেটা নিশ্চিত করে নিজেও বলতে পারছেন না ডগলাস।
কমলা প্রথম স্ত্রী নন অবশ্য। ডগলাসের আগের পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে দু’টি সন্তান রয়েছে। প্রায় ষোলো বছরের বিবাহিত জীবনে ইতি টানার কয়েক বছরের মাথায় ক্যালিফর্নিয়ার সেনেটর ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ডগলাসের। তা-ও আবার এক ব্লাইন্ড ডেটে। ধীরে ধীরে সেই পরিচয়ই গাঢ় হয়। এক সময়ে কমলাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন ডগলাস। ২০১৪ সালে সান্টা বারবারায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বিয়েটা সেরে ফেলেন দু’জনে।
আরও পড়ুন:‘কারা পদে বসিয়েছে?’, গুগল, ফেসবুক, টুইটার কর্তাদের দায়িত্ব নিয়ে তোপ সেনেটরদের
দ্বিতীয় বিয়ের বছর তিনেক পরে কমলা এবং প্রাক্তন স্ত্রী কার্স্টিন ম্যাকিনকে নিয়ে ম্যানহাটনের অভিজাত রেস্তঁরায় এক বার খেতে গিয়েছিলেন ডগলাস। তিন বছরেই প্রাক্তন স্বামীর ভোল বদল দেখে চমকে উঠেছিলেন কার্স্টিন। কমলাকে তিনি সরাসরি বলেই ফেলেছিলেন, ‘‘আমি জানি না, এই তিন বছরে এই মানুষটার সঙ্গে তুমি কী করেছ। তবে যা করেছ তা দুর্দান্ত!’’
• ব্লাইন্ড ডেটে গিয়ে প্রথম আলাপ।
• সোশ্যাল মিডিয়ায় কমলা নিজেই ফাঁস করেছেন যে, প্রথম ডেটের পর দিনই তাঁকে ই-মেল করে পরের কয়েক মাসের ডেটের তালিকা পাঠিয়েছিলেন ডগলাস এমহফ।
• কমলার বাড়িতেই হাঁটু মুড়ে বসে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন পেশায় আইনজীবী ডগলাস।
• ২০১৪-র অগস্টে সান্টা বারবারায় বিয়ে।
• দু’জনের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ ৫৮ লক্ষ ডলার। লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো এবং ওয়াশিংটনের অভিজাত এলাকায় তিনটি বিলাসবহুল বাড়ি।
কমলার জন্য তাই নিজের পেশা ভুলে থাকতে পিছপা হচ্ছেন না ডগলাস। এর আগে কমলা যখন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন, তখনও কাজ থেকে লম্বা ছুটি নিয়ে নিয়েছিলেন ডগলাস। তবে একেবারে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর হয়ে প্রচারের কাজটা যে আদৌ সহজ নয়, সেটা ডগলাসও ভাল ভাবেই জানেন। স্ত্রী আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হলে নিজের পেশার সঙ্গে সরকারি নীতির বিরোধের সম্ভাবনার কথাও তাঁর অজানা নয়। কিন্তু সব সময় স্ত্রীর পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। বলছেন, ‘‘আমি যেটা আগে করে এসেছি, সেটাই এখন করছি। কমলাকে সমর্থন, ওর পাশে থাকা। যখনই ওর দরকার হবে, সব সময়ে আমাকে পাশে পাবে ও।’’ দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর বিতর্কসভাতেও নজর কেড়েছেন ডগলাস। মাস্ক পরে স্ত্রীর পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মাইক পেন্স ও তাঁর স্ত্রী কিন্তু উপস্থিত ছিলেন মাস্ক ছাড়াই।
যে ভার্চুয়াল সভায় মেরেকেটে হাজার খানেক দর্শক হওয়ায় কথা, সেখানেই একসঙ্গে ৬০ হাজার মানুষ ডগলাসের বক্তৃতা শুনেছেন, এমন উদাহরণও দিচ্ছেন কমলার প্রচার টিমের ম্যানেজার। কমলার প্রচার টিমের সদস্যেরা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন যে ডগলাসই তাঁদের ‘গোপন অস্ত্র’।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে গির্জার ভিতরেই গলা কেটে খুন, হত আরও ২
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy