আব্দুল গনি বরাদরের সাক্ষাৎকারের এই ছবিই টুইট করেছে তালিবান। ছবি সৌজন্য টুইটার।
মোল্লা আব্দুল গনি বরাদর যে বেঁচে আছেন, তা প্রমাণ করতে মরিয়া তালিবান। তাঁর মৃত্যুর খবর চাউর হতেই বরাদরের অডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছিল তালিবরা। এ বার তাঁরা আরও মজবুত প্রমাণ নিয়ে হাজির। বরাদরের সাক্ষাৎকারের একটি ছবি প্রকাশ করে তালিব নেতারা ফের দাবি করলেন, তাঁদের নেতা জীবিতই আছেন এবং নিরাপদে আছেন।
আফগানিস্তানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন বরাদর। টুইট করে এমনই ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তালিবানের তরফে। তালিবান নেতা আবদুল্লা মুত্তাকি বরাদরের সাক্ষাৎকারের সেই ছবি টুইট করে বলেছেন, ‘খুব শীঘ্রই বরাদরের সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হবে।’
গত সপ্তাহেই বরাদরের নাম উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তার পর থেকেই বরাদরের আর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। প্রকাশ্যেও তাঁকে দেখা যায়নি। বরাদরের ‘নিরুদ্দেশের’ খবর চাউর হতেই আসরে নামে তালিবান। তাঁরা জানান, নেটমাধ্যমে তাদের নেতাকে নিয়ে ভুয়ো খবর রটানো হচ্ছে। বরাদরের মৃত্যু হয়নি। তিনি বেঁচে আছেন। তার পরই বরাদরের একটি অডিয়ো-বার্তা প্রকাশ করা হয়।
সেই অডিয়ো বার্তায় বরাদরকে বলতে শোনা যায়, ‘সংবাদমাধ্যমে আমার মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক দিন আমি বাইরে রয়েছি। আমি সুরক্ষিত আছি। ভাল আছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম সব সময় মিথ্যা বিষয়গুলি তুলে ধরে। আমি সেই মিথ্যাকে সরাসরি খারিজ করছি। এবং ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই।’
ډير ژر به د ریاست الوزراء د مرستيال محترم ملابرادر اخند دنن ورځي تازه مرکه نشرسي
— Ahmadullah Muttaqi (@Ahmadmuttaqi01) September 15, 2021
او د دښمن ټول تبليغات به رسما خنثا شي. pic.twitter.com/9HWn9eafI0
এ মাসের গোড়াতেই কাবুলে প্রেসিডেন্ট ভবনে তালিবানের গোষ্ঠী সঙ্ঘাত হয়েছে বলে বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি। সেই সঙ্ঘাতের পরই বরাদর নিখোঁজ। কাবুল দখলের পরেই তালিবানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বরাদরের সঙ্গে পাকিস্তানের মদতে পুষ্ট হক্কানি নেটওয়ার্কের দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। নয়া সরকারে ক্ষমতার ভাগাভাগির জেরে হক্কানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষেই বরাদর নিহত হন বলে ‘খবর’ ছড়ায়। প্রেসিডেন্ট ভবনে উপস্থিত এক তালিবান কমান্ডার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই ঘটনার দিন বরাদরের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল হক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হক্কানির কাকা খলিল-উর রহমান হক্কানির। তার পরেই উত্তেজনা ছড়ায় প্রেসিডেন্ট ভবনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy